বড়োসড়ো সংকট ডেকে এনেছে জোশীমঠ বিপর্যয়। ঘরবাড়ি, হোটেল, রাস্তায় ব্যাপক ফাটলের জন্য কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজকে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এ বার মুসৌরিতে নির্মাণ ও সুরক্ষার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সমীক্ষার নির্দেশ।
পরিবেশ সুরক্ষার জন্য হিমালয় অঞ্চলের পরিবেশ-সংবেদনশীল এলাকার বহন ক্ষমতার উপর একটি সমীক্ষা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মুসৌরির জন্য এই ধরনের একটি সমীক্ষা চালানো হবে।
ঠিক কত সংখ্যক নির্মাণের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে এবং তার জন্য কী ধরনের সুরক্ষা অবলম্বন করতে হবে, বিদ্যমান বিল্ডিংগুলির জন্য কী সুরক্ষা ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ই উঠে আসবে সমীক্ষা রিপোর্টে। পাশাপাশি, এনজিটি-র প্রিন্সিপাল বেঞ্চের তরফে জারি করা ওই সাম্প্রতিক নির্দেশে বলা হয়েছে, “যানবাহন ট্র্যাফিক, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, মাটির স্থিতিশীলতা এবং উদ্ভিদ এবং প্রাণীর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশগত অখণ্ডতা বজায় রাখা-সহ অন্যান্য সমস্ত প্রাসঙ্গিক এবং সংশ্লিষ্ট দিকগুলিও সমীক্ষায় ঠাঁই পাবে”।
এ ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি যৌথ কমিটি গঠন করেছে ট্রাইব্যুনাল। কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন দেহরাদুনের ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজি, গোবিন্দ বল্লভ পন্ত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রনমেন্ট এবং রুরকির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইড্রোলজির (এনআইএইচ) প্রতিনিধিরা।