নয়াদিল্লি: কিছু বড় বাজারে পেঁয়াজের জোগান নিয়ে টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে। মজুত কমে গেলে রান্নাঘরের প্রধান এই উপকরণ নিয়ে টম্যাটোর মতোই পকেটে টান পড়তে পারে। যদি সত্যিই তা হয়, তবে মধ্যবিত্তের বাজেটে আঘাত করবে, যা ইতিমধ্যেই টম্যাটোর দামের তীব্র বৃদ্ধির কারণে ঘটে চলেছে।
বেশিরভাগ ভারতীয় খাবারের মূল উপাদানের একটি হল পেঁয়াজ। অতীতে দেখা গেছে, এক বার পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করলে, তা সহজে থামতে চায় না। একনাগাড়ে উপরে উঠতে উঠতে দাম কমতেও যথেষ্ট সময় লাগে।
এশিয়ার বৃহত্তম পেঁয়াজের বাজার মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও কৃষি বাজার কমিটির সেক্রেটারি নরেন্দ্র ওয়াধওয়ানে মঙ্গলবার বলেছেন, গত মাসে ভারী বৃষ্টির কারণে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। “মজুত পেঁয়াজের অনেক ক্ষতি” হয়েছে, যার ফলে “সরবরাহ কমে গেছে”।
তবে এক সরকারি আধিকারিকের মন্তব্য উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস-এর রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “সরকার সারাদেশে ৫৩৬টি পয়েন্ট জুড়ে ২২টি প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে পেঁয়াজের চাহিদা এবং সরবরাহ পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের বাজারে জোগান দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত স্টক রয়েছে এবং কোনো উদ্বেগ নেই”।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতকালীন ফসল বার্ষিক চাহিদার ৭০ শতাংশ পূরণ করে। তবে এ বার দেখা যাচ্ছে তা আগের বছরের তুলনায় দুর্বল। সরবরাহে টান দেখা দিয়ে ভারত পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে। আগে এমনটাই দেখা গিয়েছে। কিন্তু ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ সালে কোনো আমদানি করেনি ভারত।
গত চার মাস ধরে পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে তেমন কিছু হওয়ার নেই। পরবর্তী পেঁয়াজ কাটা অক্টোবরে হবে। সরকারি তথ্য অনুসারে, বর্তমানে পেঁয়াজের গড় দাম খুচরো মূল্য ২৫ টাকা প্রতি কেজিতে স্থিতিশীল রয়েছে।