ডেস্ক: শীতলকুচি কাণ্ডে ফের বিজেপিকে নিশানা তৃণমূল নেত্রীর। বলেছেন, ‘কেউ কেউ বলছে গুলি চালিয়ে দাও, কেউ কেউ বলছে আটজনকে গুলি করা উচিত ছিল। এই সব নেতাদের ব্যান করা উচিত’। এদিন জনসভা থেকে বিজেপির নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
‘পুরোটার প্ল্যানিং করেছেন অমিত শাহ। আর গুলি চালনার পর ক্লিনচিট দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর শোভা পায় না’। এদিন মমতা আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘শীতলকুচির ঘটনার তদন্ত করবই, আসল ঘটনা বের করব।দেখব, কে কোথায় মিটিং করেছে। ঠিক ব্যবস্থা নেব। আমাকে রাজবংশী নিয়ে কথা বলছে। নিজেদের দলের কর্মীদেরই নিজেরা মারে। লজ্জা করে না। রাজবংশী মানুষজন আমার পরিবার। তাঁরা জানে আমি কী করেছি
। যে দলের সভাপতি বলে গুলি করে মারো, সেই দলকে এখনই নিষিদ্ধ করা উচিত। কারা সেদিন গুলি চালিয়েছিল, সেই পুরো তালিকা আমার কাছে আছে। সব আমি তৈরি করে রেখেছি। ২ মে’র পর সব বের করব তদন্ত করে। আমি ছেড়ে কথা বলার মানুষ নই।’ এসপির-র সঙ্গে বলে প্ল্যান বিজেপির। কারা কারা প্ল্যানে ছিল, তদন্তে বের করা হবে’।
বিজেপি ছদ্মবেশী ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। আমরা তা করি না। আমাকে আঘাত করে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু তা পারবে না। বাংলাকে বহিরাগত গুন্ডাদের হাতে চলে যেতে দেব না। আপনারা কি চান বাংলা বহিরাগত গুন্ডাদের হাতে চলে যাক? বাংলাকে বাঁচাতেই হবে।’
আবার এদিন রাজ্যে এসে মতুয়া-আদিবাসী মানুষদের বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রসঙ্গেও পালটা তৃণমূল নেত্রী চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘মতুয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ করছি বিজেপিকে। দল, সভাপতি, গোঁসাইদের কাছে জানতে চাইছি, আমি যদি কিছু না করে থাকি আপনাদের জন্য, তাহলে আমি ইস্তফা দিয়ে চলে যাব। আর যদি মোদিবাবু মিথ্যা বলেন, তাহলে ওনাকে ওঠবোস করতে হবে।’
আমি আপনাদের পাহারাদার। আমি চা পর্যন্ত সরকারের পয়সায় খাই না’। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘ভোটে গোহারা হারবে বিজেপি। নিজেদের কর্মীকেও খুন করেছে বিজেপি। বুলেটে নয় ব্যালটে বিজেপিকে শিক্ষা দিন’।