কলকাতা: গত অক্টোবরে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে সেবার তাঁর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। বুধবার ফের রাজ্যে এসে বঙ্গ বিজেপির সভায় বক্তৃতা করলেন তিনি। ধর্মতলায় তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলে বিজেপির এই সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু লোক জমায়েতের দিক থেকে তৃণমূলের সভার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারল না তথাকথিত ‘শাহি-সভা’।
২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস হিসেবে শুধু ধর্মতলা নয়, গোটা মধ্য কলকাতা জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে যায়। বিজেপি-ও নিজেদের এই সমাবেশকে ‘মেগা শো’ হিসাবে অভিহিত করে বিপুল জমায়েতের টার্গেট করেছিল। ভাড়া করা হয়েছিল আটটি ট্রেন। অনেক বাস ও ম্যাটাডরও ভাড়া করা হয়েছিল কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে দলীয় কর্মীদের ধর্মতলায় আনার জন্য। তবে, মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, এ দিন কার্যত ফাঁকা মাঠে একে একে ভাষণ দিলেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চকে চ্যালেঞ্জ করে ডাহা ফ্লপ বিজেপি। পরিস্থিতি দেখে না কি ভাষণ শেষ করে মঞ্চ ছাড়েন হতাশ অমিত শাহ।
এমনই বক্তব্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এ দিন বিধানসভার বাইরে কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। তারই পাল্টা সভা করে বিজেপি। বিজেপি-কে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ধর্মতলায় বিজেপির সভা ফ্লপ হয়েছে। কলকাতায় অসভ্যতামি করতে এসেছে কাপুরুষের দল। আমি অধ্যক্ষকে বলব কড়া ব্যবস্থা নিতে। ধর্মতলায় ফ্লপ হয়েছে তাই বিধানসভায় এসেছে। আমাকে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ দেখিয়ে লাভ নেই।…’
তৃণমূলের একাংশের দাবি, অমিত শাহের সভায় সমাগম বাড়ানোর জন্য বিস্তর কৌশল অবলম্বন করেছিল বিজেপি। কিন্তু কোনোটাই কাজে লাগেনি। জেলা থেকে লোক আনতে ‘বিশেষ কৌশল’ও ব্যর্থ। অভিযোগ, শাহি-সভায় যোগ দিতে টাকার প্রলোভনও দেখানো হয়। কিন্তু শেষমেশ মঞ্চের সামনের চেয়ার ভরিয়ে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে ভিড় দেখানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কটাক্ষ, ২১ জুলাই মঞ্চের পিছনে যে সংখ্যক মানুষ থাকে, সেটুকুও এ দিন চোখে পড়েনি বিজেপি-র পুরো সভায়।