ডেস্ক: বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মঞ্চে না উঠে, প্রথমে আদিবাসী নৃত্যের তালে মেতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে মিশে যান। মুখ্যমন্ত্রীকে ঐতিহ্যবাহী ‘পাঞ্চি’ শাড়ি দিয়ে স্বাগত জানায় আদিবাসী সমাজ। তাঁদের গানও মন দিয়ে শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী সমাজের বীর শহিদ সিধু-কানহুর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। আদিবাসীদের সাবেকি পোশাক পরে তাঁদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাতে দেখা যায় মমতাকে। আদিবাসী বিশিষ্টদের সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অধিকার রক্ষার ডাক দেন মমতা। আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতার দাবি, ‘আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। আমাদের সরকার সেই আইন চালু করেছে। সারা দেশে আদিবাসীদের অধিকারে এই আইন চালু করা উচিত। আদিবাসীদের জন্য আলাদা দফতর তৈরি করা হয়েছে।’ এখানে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, ৪টি কলেজ করা হয়েছে। স্পোর্টস কমপ্লেক্স করা হয়েছে। আদিবাসী ভাষাকে সম্মান জানানো হয়েছে। ঝাড়খণ্ড, অসম, ওড়িশায় সাওতাল রয়েছে। কিন্তু একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই সাওতালি ভাষায় পড়াশোনা হয়। আদিবাসী এলাকায় ১০০ টি স্কুল এবং অলচিকি হরফের জন্য ৫০০ টি স্কুল করা হচ্ছে। সারনা বা সারি ধর্মকে স্বীকৃতি দানের জন্য পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার।
এদিন তিনি বলেন, আগামি পাঁচ বছরে দশ লক্ষ সেল্ফ হেল্প গ্রুপ তৈরি করা হবে। আগামি এক- ২ মাসের মধ্যেই দুয়ারে রেশন ও চালু হয়ে যাবে। যা কথা দিয়েছিলাম প্রতিটা কথা রেখেছি।
এবছরও প্রায় ন’লক্ষ সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এক কোটি কুড়ি লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে।
আমরা ধর্মে-ধর্মে, মানুষে-মানুষে ভাগ করি না। সবাই আমরা একসঙ্গে কাজ করি। আপনারা ভাল থাকলে, আমি ভাল থাকবো। আপনাদের কখনও কিছু অসুবিধা হলে আমাকে বলবেন, আমি দেখে নেবো। কিন্তু আমাকে দয়া করে ভুল বুঝবেন না। আপনারা আমাদের অনেক আশীর্বাদ দিয়েছেন। ঝাড়গ্রামের চারটি আসনে জিতিয়েছেন।