ডেস্ক: ২ মে পর এখানে কাটমানি নেওয়ার কেউ থাকবে না।তেহট্টের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে বিঁধলেন শাহ। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকারের বিদায়ের জন্য যাঁরা আজ এসেছেন তাঁদের বলব, আগামী বছরে আপনাদের জন্য শুভ হোক। ২ মে পর এখানে কাটমানি নেওয়ার কেউ থাকবে না। বাংলার জনাদেশ আসার পর সিন্ডিকেট চালানোর কেউ থাকবে না।
মতুয়া অধ্যুষিত, সীমান্তবর্তী অঞ্চল তেহট্টে শাহী সভায় শুরু থেকে শেষ থাকল মতুয়া সমাজের জন্য প্রতিশ্রুতি। অমিত শাহ এ দিন বলেন, “মতুয়া, নমশুদ্র সমাজ নাগরিকত্ব দিতেই হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি দুই তারিখ যাচ্ছেন। মতুয়া সমাজ নাগরিকত্ব পাবেই।
মতুয়া ”দলপতি’-দের মাসিক ৩০০০ টাকা পেনশন দেওয়া হবে। মতুয়া-নমঃশুদ্র বিকাশ বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার গঠন হওয়ার পরই ঠাকুরনগর স্টেশনের নাশ শ্রীধাম ঠাকুরনগর করা হবে। ঠাকুরনগরকে তীর্থক্ষেত্রে হিসেবে গড়ে তোলা হবে। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ধামকে পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তেহট্ট থেকে দেবগ্রাম পর্যন্ত একটি সেতুর প্রয়োজন। দশ বছরে দিদি তা করিনি। আমাদের প্রার্থীকে জেতান, এখানে পুল তৈরি হবে। তার উপর দিয়ে বাইক যাবে। তেহট্টকে মিউনিশিপ্যালিটি হিসেবে তৈরি করা হবে। এখানে ৩টি কেল্ট স্টোরেজ তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: শীতলকুচির ঘটনায় সিআইডি তদন্তের রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
অমিত শাহ এ দিন আরও বলেন, তৃণমূল হোক বা বাম কংগ্রেস জোট, অনুপ্রবেশ কেউই রুখতে পারবে না। অন্য দিকে বিজেপি ক্ষমতায় এলে সীমান্ত হবে নিশ্চিদ্র। রাজনৈতিক মহল বলছে অনুরপ্রবেশ ইস্যুটি আসলে সূক্ষভাবে মেরুকরণের প্রশ্নেই ব্যবহার করছেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ বলেন, এখানে জগধাত্রী পুজোর সময়ে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। এখানে দুর্গাপুজোর জন্য পুলিশের অনুমতি চাইতে হয়। এবার আর তা হবে না। কাউকে কোর্টে যেতে হবে না। সরস্বতী পুজো দিদির গুন্ডারা রুখে দেয়। বিজেপি সরকার তৈরি করে দিন, কারও ক্ষমতা নেই সরস্বতী পুজো রুখে দেবে। আপনাদের বলছি ২২ তারিখ নির্ভয়ে ভোট দিতে যান। দিদির কোনও গুন্ডার ক্ষমতা নেই আপনাদের বাধা দেয়। মানুষ জাগলে গুন্ডারা পালায়। এখন বাংলার মানুষ জেগেছে। দিন বদলেছে।