কলকাতা: বাগুইআটি জোড়া হত্যাকাণ্ডে এ বার এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থেকে এক যুবককে আটক করল সিআইডি। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই সিআইডির ফরেন্সিক দল প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা করে মেরুন রঙের একটি সুজুকি গাড়ি। ঘটনার দিন, স্কুল শেষে এই গাড়িতেই উঠেছিলেন নিহত দুই পড়ুয়া অভিষেক নস্কর এবং অতনু দে।
বাগুইআটি কাণ্ডে এর আগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রবিউল মোল্লা নামে এক যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়। সে ভাঙড়ের পোলেরহাটের বাসিন্দা। তাকে ভাঙড় থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি এখনও অধরা।
অভিযোগ, ২২ আগস্ট গাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে খুন করা হয়েছিল। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। এ দিন সকালে বাগুইআটি থানায় রাখা গাড়ি পরীক্ষা করতে পৌঁছে যায় ফরেন্সিক দলের দুই সদস্য। গাড়ির ভিতরের আঙুলের ছাপ থেকে শুরু করে সওয়ারিদের ব্যবহার করা জলের বোতল, সবই পরীক্ষা করে দেখেন সিআইডির ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। যেহেতু গাড়িতেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাই সেখানে রক্তের দাগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: বাগুইআটির জোড়া খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, আইসি ক্লোজড, সিআইডি-কে তদন্তভার
টানা দু’ঘণ্টা ধরে খুঁটিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, নিউটাউনের একটি গেস্ট হাউসে পৌঁছে যায় সিআইডি-র আরেকটি দল। সূত্রের খবর, এই গেস্ট হাউসেই খুনের পরিকল্পনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাগুইআটি থেকে নিখোঁজ দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪