এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকা বাগদা থেকে গত সপ্তাহে অভিযুক্ত দুই বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ।
ঘটনায় প্রকাশ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার জিতপুর বর্ডার আউটপোস্টের কাছাকাছি এলাকায় সীমান্ত পেরনোর চেষ্টা করছিলেন বছর তেইশের ওই তরুণী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বামী ও দুই সন্তান। তাঁরা আদতে উত্তর ২৪ পরগনারই বসিরহাটের ত্রিমোহিনী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁরা রাতের অন্ধকারে সীমান্তের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ওই সীমান্ত এলাকায় পাহারার দায়িত্ব বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের। ওই রাতে বিএসএফ-কর্মীদের টর্চের আলোয় ওই তরুণীদের গতিবিধি টের পেয়ে যায় বিএসএফ।
পুলিশের কাছে ওই গৃহবধূ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এর পর ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে ওই তরুণী আশ্রয় নেন সীমান্তবর্তী একটি কাঁকরোল ক্ষেতে। কাঁকরোলের মাচার নীচে তিনি যখন সন্তান নিয়ে লুকিয়ে, তখনই এক BSF কনস্টেবল তাঁদের দেখতে পান টর্চের আলোয়। এর পর তিনি ওই তরুণী এবং তাঁর শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পৌঁছন বিএসএফের এএসআই পদমর্যাদার এক অফিসার। তিনি পোস্ট কমান্ডার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই এএসআইয়ের নির্দেশেই তাঁর অধীনস্থ কনস্টেবল গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার অভিযুক্ত দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম আলতাফ হোসেন এবং এস পি চেরো। তাঁরা বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর তাঁদের সাসপেন্ড করে বিএসএফ। অভিযোগের তদন্তে এ দিন তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাগুইআটি জোড়া খুন: ঘটনাস্থলে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিক দলের, আটক আরও ১