অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দত্তপুকুরে বাসিন্দা রিতা সাহা। তাঁর গর্ভে ছিল ৩৩ সপ্তাহের সন্তান। মা এবং গর্ভস্থ সন্তানের প্রাণ বাঁচানো নিয়েই আশঙ্কায় ছিলেন চিকিৎসকেরা। মায়ের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল মাত্র ৩৫ শতাংশ। তবে ভেন্টিলেশনে রাখার পর অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচারে মা ও শিশুকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠালেন চিকিৎসকরা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকদের দাবি, এটি বিরল ঘটনা। ভেন্টিলেশনে থাকা কোনও রোগীকে অজ্ঞান করে অস্ত্রোপচারে সন্তানের জন্ম— এ রাজ্যে আগে কখনও ঘটেনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ১ মার্চ দত্তপুকুর থেকে রিতা সাহা (৩৩) শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। সেই সময় হাসপাতালের আইসিইউতে বেড ছিল না। কোনওরকমে শয্যার ব্যবস্থা করে রোগীকে আইসিসিইউতে রাখা হয় অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে। ভেন্টিলেশনের কয়েক ঘণ্টা পর রোগী কিছুটা ভালো অবস্থায় আসে। হাসপাতাল সুপার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেন, এই রোগীকে শুধুমাত্র ভেন্টিলেশনে রাখলেই হবে না। তার সঙ্গে সিজার করতে হবে।
বারাসত মেডিক্যাল কলেজের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, “আল্টাসোনোগ্রাফিতে দেখা যায়, তাঁর গর্ভস্থ সন্তান বেঁচে রয়েছে। আমরা সিজ়ার করার সিদ্ধান্ত নিই। বাড়ির লোকজনকে বুঝিয়ে রোগীর অস্ত্রোপচার করে সন্তান এবং মাকে বাঁচানো হয়েছে।’’
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির ওজন ১ কিলো ৬০০ গ্রাম। মা এবং শিশু, দু’জনেই সুস্থ। বুধবার মা এবং পুত্রসন্তানকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।