ওয়েবডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্য। স্কচ অ্যাওয়ার্ড গোল্ডে ভূষিত রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এই দপ্তরের গ্রিভান্স রিড্রেসল সেলের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই মিলল এই স্বীকৃতি। বিশ্বজোড়া অতিমারী পরিস্থিতিতে যখন নাজেহাল চিকিৎসক, গবেষক, রাষ্ট্রনেতারা তখন ভারতেও শুরু হয় করোনার বিরুদ্ধে লড়াই। সম্পূর্ণ অচেনা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাল ছাড়েননি। কীভাবে সংক্রমণ কমিয়ে আবারও রাজ্যকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো যায় সেদিকেই নজর ছিল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো রাজ্য কাজ শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর। প্রথম দফায় শুরু হয় কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ। কারা কারা ভিনরাজ্য কিংবা ভিনদেশ থেকে এ রাজ্যে ফিরেছেন তা খতিয়ে দেখে, করোনা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার কাজ শুরু করেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রথমদিকে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও নমুনা পরীক্ষা করাতে ভয় পাচ্ছিলেন অনেকেই। তাঁদেরও সাহস জোগানোর কাজ করে স্বাস্থ্যদপ্তর। এমনকী সকলে মাস্ক পরছেন কিনা এবং কোভিডবিধি মানছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখার গুরুদায়িত্ব সামলায় স্বাস্থ্যদপ্তর। এই কাজে সাহায্য করে রাজ্য পুলিশও। ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। বর্তমানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, কোন হাসপাতালে কতগুলি বেড ভর্তি হতে বাকি আছে, সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। শুধু তাই নয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীদের শারীরিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজখবরও সংস্পর্শ এড়িয়ে খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন রোগীর পরিজনেরা। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর যে একশোয় একশো নম্বরের অধিকারী হতে পারে, সেকথা বলছেন অনেকেই। আর এই অসামান্য কাজের স্বীকৃতিতেই স্কচ অ্যাওয়ার্ড গোল্ডে ভূষিত হল রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।
447