ওয়েবডেস্ক : কেন্দ্র থেকে পাঠানো টিকার পরিমাণ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজনে প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি করোনা প্রতিষেধক কিনবে রাজ্য। সকল রাজ্যবাসী বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন পাবেন। খরচ দেবে রাজ্য সরকার।
টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরুর প্রথমদিনই এ কথা জানিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে শনিবার জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।
তখনই প্রয়োজনীয় টিকার বন্দোবস্ত ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কেন্দ্র মাত্র ১.৫ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। ডবল ডোজের ভ্যাকসিন হলে মোট ৩ কোটি টিকার দরকার হয়। এদিকে রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি।
তাই বাকি রাজ্যবাসীকে কোভিড টিকা দেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে তৈরি রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে সরাসরি ভ্যাকসিন কিনবে রাজ্য। নবান্ন থেকে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও একই কথা জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চান, দ্রুত সকল রাজ্যবাসী বিনামূল্যে কোভিড টিকা পাক।
নবান্নের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ২০৭টি এলাকায় ২০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যভবন থেকে জানানো হয়েছে, সপ্তাহে চারদিন সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও পরিবহণকর্মীকে কোভিডযোদ্ধার তালিকায় আনার সুপারিশ করেছিলেন তিনি। এদিন শুধু পরিবহণ কর্মী নয়, সকল রাজ্যবাসীকে দ্রুত টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তিনি। যদিও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে প্রথম দফায়, শুধুমাত্র কোভিডযোদ্ধারা এই টিকা পাবেন।
আরও পড়ুন : রাজ্যে শুরু হল টিকাকরণ, ২০৭টি কেন্দ্রে মিলছে টিকা
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে টিকা দেবে রাজ্য সরকার। এনিয়ে তুমুল রাজনৈতির টানাপোড়েনও তৈরি হয়। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্র বিনামূল্যে টিকা দেওযার কথা ঘোষণা করেছে। তা নিজের নামে চালাতে চাইছে রাজ্য।