ওয়েবডেস্ক : টিকাকরণের শুরুতেই বিপত্তি। সফ্টওয়্যারের সমস্যায় রাজ্যে কার্যকর হল না কো-উইন অ্যাপ। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। করোনা টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে হাতেকলমে শুরু হয়েছে তথ্য সংগ্রহ, নথিভুক্তকরণ ও পরীক্ষার কাজ।
করোনা টিকা যাঁরা নেবেন ‘কো-উইন’ অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। এমনকি টিকাকরণের সূচনায় শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানান সে কথা।
টিকা প্রাপকের নাম, ঠিকানা, বয়স, ফোন নম্বর-সহ নানা তথ্য এই অ্যাপের মাধ্যমেই সংরক্ষিত রাখার নিয়ম। কিন্তু সফ্টওয়্যারের সমস্যার কারণে প্রথম দিনের টিকাকরণ কর্মসূচিতে তা সম্ভব হয়নি।
শনিবার যাঁদের করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে, তাঁরা মূলত কোভিড-১৯ যোদ্ধা। তাই আগে থেকেই তাঁদের সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষিত ছিল। টিকা দেওয়ার আগে স্বাস্থ্য দফতর নিযুক্ত ভলান্টিয়ার অফিসার (ভিও)-রা তা মিলিয়ে দেখেছেন।
ওই তথ্যপঞ্জি সংক্রান্ত ‘হার্ড কপি’ স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তার আগে কো-উইন অ্যাপে তথ্যপঞ্জি আপলোড করার কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের সময় তা মিলিয়ে দেখে নেবেন সংশ্লিষ্ট ভিও-রা।
মোট চারটি ধাপে সম্পন্ন হচ্ছে টিকাকরণের কাজ। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম ধাপ— ভিও-১ তাঁদের কাছে থাকা তালিকা দেখে টিকাপ্রাককের নাম মিলিয়ে টিক দিচ্ছেন। পরিচয়পত্র মিলিয়ে নিচ্ছেন।
দ্বিতীয় ধাপ— ভিও-২ টিকাপ্রাপকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। ওই মুহূর্তে তাঁদের কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে কি না, জেনে নিচ্ছেন।
তৃতীয় ধাপ— ভ্যাকসিনেটর করোনা টিকা প্রয়োগ করছেন।
চতুর্থ ধাপ— ভিও-৩ টিকাপ্রাপককে আধ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখছেন। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে এই সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপকের শরীর টিকার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কি না, তা খুঁটিয়ে দেখতে অবজারভেশন রুমে রয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্তও রয়েছে।
প্রতিটি টিকাকরণ কেন্দ্রে গোটা কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধান করছেন ভিও-৪-রা। সমন্বয় রক্ষার পাশাপাশি কোনও সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বও তাঁদের।
আরও পড়ুন : ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়েই টিকাকরণ শুরু করবে দেশ