সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের মৃত্যু। রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে লালন শেখের মৃত্যু ঘিরে রহস্য।
সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ লালনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। লালনের রহস্যমৃত্যু নিয়ে সিবিআইয়ের দাবি, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন লালন। যদিও সেই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে তাঁর পরিবার। লালনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
সোমবার সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে জেরা চলাকালীন মৃত্যু হয় লালনের। এর পর দেহ পাঠানো হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে।
খবর পেয়ে হাসপাতালের সামনে পৌঁছয় লালনের পরিবার। অন্য দিকে, উত্তেজনা প্রশমিত করতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে পৌঁছন বীরভূম জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।
লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে তাঁর পরিবার। লালনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
লালন শেখের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘আমার বাড়ি শেষ করে দিয়েছে সিবিআই। ভাদুর ভাইরা আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমার স্বামীকে মেরে দিয়েছে সিবিআই। আমার সামনে আজকে মারল। আমাকেও মেরেছে সিবিআই।’’