কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৭০ শতাংশ কেবল টিভি গ্রাহক শনিবার থেকে তিনটি প্রধান ব্রডকাস্টিং সংস্থার কোনো পে-চ্যানেলই দেখতে পাচ্ছেন না। ব্রডকাস্টিং সংস্থাগুলোর পাল্টা বক্তব্য, ট্রাই-এর নয়া মাশুল-নির্দেশিকা মেনে তাদের সঙ্গে এমএসও-রা চুক্তি না-করার জন্য পে-চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আপাতত কেবলে জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি ফিরে আসার সম্ভাবনা কম।
টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-এর নতুন মাসুল নীতি কার্যকর হওয়ার পর দাম বাড়িয়ে এমএসও-দের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে চায় চ্যানেলগুলির মালিকপক্ষ। তাঁদের ঠিক করে দেওয়া দামেই এমএসও এবং কেবল আপরেটারদের চ্যানেল চালাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি একতরফা ভাবে মেনে না নেওয়ায় কলকাতার সঙ্গে সারা দেশেই কেবল টিভির জনপ্রিয় চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অপারেটারদের কোনো আগাম নোটিস ছাড়াই চ্যানেলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে কেবল অপারেটাররা গ্রাহকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন।
জানা গিয়েছে, মূলত বন্ধ করা হয়েছে সোনি, স্টার ও জি-এর চ্যানেলগুলি। চ্যানেলগুলির মালিক সংস্থা এক ধাক্কায় ৩০-৩৩ শতাংশ মাসুল বৃদ্ধি করেছে বলেই অভিযোগ কেবল অপরেটারদের। গত বছর ২২ নভেম্বর ট্রাই যে সংশোধিত মাশুল-নির্দেশ (এনটিও ২.০) নিয়ে এসেছে, তারই প্রেক্ষিতে বাংলা-সহ গোটা দেশে কেবল ও ডিটিএইচ প্ল্যাটফর্মে পে-চ্যানেলের দাম ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেড়েছে।