ওয়েবডেস্ক : দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন কে বদনাম করার জন্য ও বিশৃংখল করার চেষ্টা করছে বিজেপি যেটা 26 শে জানুয়ারি তে মানুষ দেখেছেন অভিযোগ তোলেন বাম সংগঠন। এই কৃষক আন্দোলন কে বদনাম করার যে চেষ্টা চালিয়েছে তার জন্যই সারা ভারত বর্ষ জুড়ে চাকাবান্ধ কর্মসূচি নিয়েছে।
বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে সারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এই চাকা বন্ধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পথসভা ও পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বাম কৃষক সংগঠনগুলি এবং কংগ্রেস।
মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই এই কর্মসূচি পালিত হয়। কোনও কোনও জায়গায় অবরোধ তোলা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা হলেও বড়সড় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন : কৃষকদের চাক্কা জ্যামে কাঁটাতার, ব্যারিকেডে ঘেরাও দিল্লির সীমান্ত, পুলিশে ছয়লাপ লাল কেল্লা
হাওড়া জেলার AIKSCC আহবায়ক জানান প্রায় কুড়ি টার বেশি জায়গায় পথসভা ও চাকা বন্ধ কর্মসূচি চলেছে। রানিহাটি তে জাতীয় সড়কে ২:৩০ মিনিট থেকে ২:৫০ পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে। বিশাল পুলিশবাহিনী ছিল শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে বাম সংগঠন এর কর্মীরা অবরোধ তুলে নেন।
মুর্শিদাবাদের কান্দি বাসস্ট্যান্টের কাছে বহরমপুর-সাঁইথিয়া ১১ নম্বর রাজ্য সড়কে অবরোধ চলে। কৃষক আন্দোলনের আঁচ পড়ে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলেও।
আসানসোলের বার্ণপুর মোড়ে সারা ভারত কৃষক ক্ষেত মজদুর সংস্থা ও বার্ণপুর গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির তরফে জিটি রোড অবরোধ করা হয়। শনিবার ১২টা নাগাদ এই অবরোধ কর্মসূচির ফলে আসানসোল চৌমাথা মোড় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
বীরভূমেও একাধিক জায়গায় আবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বোলপুর বাইপাস রোডে বাম-কংগ্রেসের যৌথ ভাবে কর্মসূচি পালন করে।
হুগলিতেও কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম কৃষক সংগঠনের সদস্য এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। শনিবার ডানকুনিতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখায় গুরদ্বার শিখ সঙ্গত।
পুলিলিয়াতেও এই কর্মসূচি পালন করেন বাম কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে পুরুলিয়ার পারার আনাড়াতে দীর্ঘক্ষণ চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি চলে।
শনিবার আড়াইটা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার স্টেশন মোড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে বাম কৃষক সংগঠনগুলি।