পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলের পর এবার কংগ্রেসের সামনে আরও দুর্ভোগ রয়েছে। এবার সম্ভবত রাজ্যসভায় বিরোধী নেতার পদটি খোওয়াতে চলেছে্ তারা। এই প্রথম রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা সবথে্কে কম হতে চলেছে। বিরোধী নেতার পদ পেতে যে সংখ্যায় সাংসদ থাকা প্রয়োজন তা তাদের হাতে না থাকারই সম্ভাবনা। এই অবস্থায় আগামী বছর গুজরাত এবং কর্নাটকে তাদের ভালো ফল করতেই হবে। না হলে রাজ্যসভার যে নির্বাচন প্রতি ২ বছর অন্তর হয় তাতে স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের এম পি সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
এখন ৩৪ জন সাংসদ নিয়ে্ কংগ্রেস রাজ্যসভার প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু তাদের সদস্য সংখ্যা ক্রমশই কমতে থাকবে। এবছর কম করেও ৭টি আসন হারাতে চলেছে তারা। এটাই হবে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা। এছাড়া অসম, কেরল, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের এম পি কমে যাবে। আগামী বছর বেশ কিছু সদস্যের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে।
নিয়ম অনুসারে, রাজ্যসভার বিরোধী নেতা হতে হলে মোট সদস্যের কম পক্ষে ২৫ শতাংশ আসন থাকতে হবে। এখম কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খারগে রাজ্যসভার বিরোধী নেতা। লোকসভায় কংগ্রেসের কোনও বিরোধী নেতা নেই। কারণ এখন লোকসভায় তাদের সদস্যসংখ্যা ১০ শতাংশেরও কম। নির্বাচন কমিশন আগামী ৩১ মার্চ রাজ্যসভার ১৩টি শূন্য আসনের ভোটের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যে রাজ্য থেকে সাংসদরা নির্বাচিত হবেন তাঁদের পাঁচজন পাঞ্জাব থেকে, বাকি ৮ জন হিমাচলপ্রদেশ, অসম, কেরল, নাগাল্যান্ড এ ত্রিপুরা থেকে। পাঞ্জাব থেকে যাঁরা অবসর নিচ্ছেন, তাঁদের ২ জন কংগ্রেসের। তবে আপের জন্য সুখবর, পাঞ্জাবে দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পাওয়ায় এবছর সে রাজ্যে যে ৭টি রাজ্যসভার আসন খালি হবে, তার অন্তত ৬টি যাবে তাদের হাতে।