ডেস্ক: তালিবানের হাতে কী ভাবে হুড়মুড়িয়ে কাবুলের পতন হয়েছে, সেই বর্ণনা দিতে দিতেই শিউরে উঠছিলেন আফগানিস্থানের কনিষ্ঠতম মেয়র তথা সে দেশের প্রথম মহিলার মেয়র জারিফা ঘাফারি। বর্তমানে মৃত্যুর প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন। “আমি অপেক্ষা করছি কখন তারা আসবে সেই মুহূর্তের জন্য। আমাকে সাহায্য করার কেউ নেই। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে রয়েছি। তারা আসবে এবং আমাকে হত্যা করবে যখন তখন,” এমনটাই বলছেন জারিফা ঘাফারি, আফগানিস্তানের প্রথম এবং কনিষ্ঠতম মহিলা মেয়র।
গোটা আফগানিস্তান এখন তালিবানের দখলে। তালিবান সন্ত্রাসের বিভৎস স্মৃতি নিয়ে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে উদভ্রান্ত হয়ে ছুটছে সাধারণ মানুষ। গোটা দুনিয়া দেখছে। চলছে তীব্র সমালোচনা। আর এসবের মাঝেই নিজের বাড়িতে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় প্রতিবাদী মুখ জরিফা গাফারি ।
আরও পড়ুন: হেল্পলাইন নম্বর ও ই-ট্রাক ভিসার ঘোষণা
আশরফ ঘানি সরকারের কর্মী তিনি। ঘানি দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু করুণ অবস্থার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন বেশ কিছু সরকারি কর্মী। কেউ কেউ পালাতে পেরেছেন। জারিফার মতো অনেকেই সেটা পারেননিও। ফলে তাঁরাই এখন প্রমাদ গুনছেন। ২৭ বছরের জারিফার আর যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। জারিফা বলছেন, “আমি কোথায় যাব, কে আমায় আশ্রয় দেবে!” একটি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবিবারই জারিফা বলেন, আমার আর কোনও বাঁচার আশা নেই।”
সোমবার কাবুলের সম্পূর্ণ দখল চলে গিয়েছে তালিবানের হাতে। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে আমূল পরিবর্তন। বদলে গেল সরকার, পালটে গেল তার নামও। তালিবানদের দখলে আসার পর আফগানিস্তানের নতুন সরকারের নাম হতে চলেছে ‘ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’। দ্রুতই এই নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করতে চলেছে জঙ্গিগোষ্ঠী।