কলকাতা: এখনই বাংলা থেকে দুর্যোগ কাটছে না। বঙ্গোপসাগরে চোখরাঙাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণবঙ্গে ফের দুর্যোগের সতর্কতা। অন্তত আগামী ২ দিন ঝড়বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই বঙ্গবাসীর। মঙ্গলবার ভারী থেকে অতি ভারীর বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সেই দুর্যোগ সামলাতে আগেভাগে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
আজ সকাল থেকে আবার শহরজুড়ে বৃষ্টি শুরু আবার নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টি। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে দাপট দেখাবে ঘূর্ণাবর্তটি। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ভাসতে পারে ভারী বৃষ্টিতে (Heavy rain)। এছাড়া পশ্চিমের জেলাগুলি – ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়াতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ দিনভর আকাশ মেঘলা। বেলা বাড়তেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরুর আশঙ্কা রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুরে হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
আরও পড়ুন: আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
প্রবল বৃষ্টির সতর্কতার পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে আগামী দু’দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে দিঘায়। পর্যটকশূন্য করা হয়েছে সৈকতশহর। ভারী বৃষ্টির জেরে ফের জলমগ্ন হতে পারে শহর কলকাতার বেশ কিছু এলাকা৷ এর পাশাপাশি বেশ কিছু সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে চাষের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা, মহকুমা, পুরসভা ও ব্লক সদর দফতরে কন্ট্রোল রুম প্রস্তুত রয়েছে। প্রস্তুত টেলিকম দফতরও। নিচু এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌছতে ব্যবস্থা। ওষুধ, ওআরএস, অ্যান্টি ভেনোম, জেসিবি, গাছ কাটার যন্ত্র-সহ প্রস্তুতত কুইক রেসপন্স টিম। ত্রাণশিবিরে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জন্য চিড়ে, গুড়, শুকনো খাবার মজুত রাখা রয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, আশ্রয়কেন্দ্রগুলি। উপযুক্ত স্যানিটাইজেশন, বেবি ফুড, পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।