কলকাতা: দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় আবারও একটি ঘূর্ণাবর্ত। এর প্রভাবে রবিবারের মধ্যে আন্দামান অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর এই সিস্টেমটি ক্রমেই পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। যখন এটি দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে এসে পৌঁছবে, তখন শক্তি বাড়িয়ে এই সিস্টেমটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তেমন হলে, ২৯ নভেম্বর সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে, বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
ওই সম্ভাব্য গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য ভারতীয় মৌসম ভবনের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। তবে যদি শেষপর্যন্ত ওই সম্ভাব্য নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে সেটির নাম হবে মিগজাউম। সেটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয় কিনা, সেদিকে নজর রাখছেন আবহবিদরা।
আপাতত যা জানা যাচ্ছে, তাতে তাইল্যান্ড উপসাগরে এটি তৈরি হতে পারে। আগামীকালের পর, এটির আন্দামান সাগরে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহবিদদের পর্যবেক্ষণ, তাইল্যান্ড উপসাগর ও মলয় উপদ্বীপ অঞ্চলে তৈরি এই ধরনের ‘নিরক্ষীয় ঝঞ্ঝা’ সাগরপথে অনেক দূর পাড়ি দিচ্ছে। সেই হিসেব কষে অনেকের আশঙ্কা, এবার হয়তো এই ‘নিরক্ষীয় ঝঞ্ঝা’ ভারত, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ফলে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত মৌসম ভবনের তরফে সরাসরি কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আগামী দু’-তিনদিন পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক থাকবে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া। তবে ভারী বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশে।