মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান-ধস, সব মিলিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হিমাচল প্রদেশে। একদিনেই রাজ্যের ধস-বন্যায় মৃত্যু হল কমপক্ষে ২২ জনের। হিমাচলের মান্ডি, ছামবা এবং কাংড়া জেলাতেই সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে৷ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সবমিলিয়ে আহতের সংখ্যা দশ৷
প্রবল বৃষ্টির জেরে মানালি- চণ্ডীগড় এবং সিমলা-চণ্ডীগড়ের মধ্যে সংযোগকারী জাতীয় সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ রাজ্যে সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে সাতশো রাস্তায় এই দুর্যোগের জেরে যান চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷ রাস্তাঘাট, বাড়ি, দোকান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবনও।
লাগাতার প্রবল বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় হড়পা বানও শুরু হয়। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডিরেক্টর সুদেশ কুমার মোখতা জানান, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় এক পরিবারের ৮ সদস্য সহ মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টি-ধসের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মান্ডি, কাংড়া ও চাম্বা জেলাতে। রাজ্যজুড়ে কমপক্ষে ৩৬ জায়গায় বৃষ্টি-ধসের কারণে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী ২৫ অগস্ট অবধি রাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলো সতর্ক করেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আগামী ৩-৪দিনে কাংড়া, চাম্বা, মান্ডি, কুলু, সিমলা, সোলাং, হামিরপুর, উনা ও বিলাসপুরের মতো একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ২৪ অগস্ট অবধি হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।