শুক্রবার সকালে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলকর্মীদের উদ্দেশে। বলেছিলেন, “তোদের বুকে পা দেব রে, বুকে পা দেব”। বিকেলে তাঁর মন্তব্য ছাড়াল নতুন সীমা। বললেন, “এর পর গলায় পা তুলে দেব”।
বেলদায় যে গেস্ট হাউসে দিলীপ ঘোষ ছিলেন, তার সামনে চলে বিক্ষোভ। ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন রাজ্য পাচ্ছে না? সেই প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী তাঁকে দেখা মাত্রই গো-ব্যাক স্লোগান থেকে চোর চোর বলে আওয়াজ তোলা হয়। তাতেই মেজাজ হারিয়ে পাল্টা হুঙ্কার দেন দিলীপ।
বলেন, “সকাল সকাল চোরেদের মুখ দেখতে হল আমায়।তোদের বুকে পা দেব রে, বুকে পা দেব”। তিনি আরও বলেন, “বলুক না, জিভ টেনে ছিঁড়ে না দিই। কার বাপের হিম্মত আছে। টাকা ওরা ঝেড়ে দিয়েছে, তাই টাকা আসছে না। যেদিন হিসেব দেবে, সেদিন টাকা আসবে”।
বিকেলে বলেন, “এর পর বলব, গলাতেও পা তুলে দেব, দরকার হলে। শুধু বুকে নয়। বুক থাকলে সামনে এসো”।
দিলীপের এই মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় তৃণমূল। এর পরই আবার দিলীপ সুর চড়ান জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে। এই বাগযুদ্ধ ঘিরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতি এখন সরগরম।
উল্লেখ্য, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনই অভিযোগ রাজ্য সরকারের। শুধু ১০০ দিনের কাজের টাকাই নয়, এরাজ্যে চলা একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ। শুক্রবার সকালে এই ইস্যুতেই দিলীপ ঘোষকে সামনে পেয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলকর্মীরা।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে ১,৫৮৫ জনের নিয়োগের ইন্টারভিউ, বিজ্ঞপ্তি এসএসসি-র