সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা

নবপত্রিকা স্নান। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: আজ মহাসপ্তমী৷ স্নানের পর মণ্ডপে নবপত্রিকার প্রবেশ। রবিবার সকালে এই আচার পালনের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো।

লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিককে নিয়ে মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশ। ভোরে গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তারপর শাস্ত্রমতে ষোড়শ উপচারে শুরু সপ্তমীর পুজো। এ দিন নবপত্রিকা স্নানের পর শুরু হয়ে গেছে পুজোর মূল পর্ব।

বাঙলার দুর্গাপুজোয় নবপত্রিকার স্নান একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। বারোয়ারি পুজোতে গঙ্গা বা অন্য কোনো নদী বা পুকুরে নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। আর বাড়ির পুজোতেও বেশ ঘটা করে নবপত্রিকা স্নান অনুষ্ঠিত হয়।

বলে রাখা ভালো, দুর্গাপুজো প্রকৃতপক্ষে শাকম্ভরী মূর্তিকল্পনার আড়ালে নবপত্রিকার পুজো। কৃষিভিত্তিক সমাজ গঠনের পর্বে শষ্যদায়িনী ধরিত্রীমাতার আরাধনাই নবপত্রিকার পুজো। বাঙলার দুর্গাপুজোর এই নবপত্রিকাকেই কলাবৌ রূপে পুজো করা হয়।

পুরাণ সূত্র থেকে জানা যায়, দেবীর যে ন’টি রূপ সেগুলির প্রতীক হিসেবে ন’টি বিভিন্ন গাছের অংশ নিয়ে গড়া হয় নবপত্রিকা। ন’টি বিভিন্ন গাছ হল কলাগাছ (ব্রহ্মাণী), কালোকচু (কালিকা), মানকচু (চামুণ্ডা), হলুদ (উমা), জয়ন্তী (কার্তিকী), বেল (শিবা), ডালিম (রক্তদন্তিকা), অশোক (শোকরহিতা), ধান (লক্ষ্মী)। সাদা অপরাজিতা লতা ও হলুদ রঙের সুতো দিয়ে এগুলি বেঁধে তৈরি করা হয় নব পত্রিকা।

আরও পড়ুন: সপ্তমীর সকালে নামল সন্ধে, নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি

Related posts

চতুর্থ দফায় বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যের ৮ কেন্দ্রে গড় ভোট ৭৫.৬৬ শতাংশ

ভোটের ডিউটিতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত, বীরভূমে মৃত জওয়ান

সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত, ছেলেদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে মেয়েরা