ডেস্ক: আজ বাঁকুড়ায় ব্যক টু ব্যক করলেন তৃণমূলনেত্রী। ‘নির্বাচন এলেই অনেক কথা বলে ওরা, আর নির্বাচন শেষ হলে পালিয়ে যায়, আর ডুগডুগি বাজায়। এখন ভোটের আগে বাংলায় বহিরাগত গুণ্ডাদের পাঠিয়েছে, তাই দিয়েই ভোট জিততে চাইছে ওরা।’ সভা থেকে কেন্দ্রকে তোপ মমতার।
‘বহিরাগতদের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন। আমি ভাঙি কিন্তু মচকাই না। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। বামবন্ধুরা বিজেপিকে ভোট দেবেন না।’ বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মন্তব্য মমতার।
কোতুলপুরের সভা থেকে বহিরাগত ইস্যুতে সুর চড়ান তৃণমূলনেত্রী। তিনি বাইরে থেকে গুণ্ডাদের পাঠাচ্ছে। ভাড়া করে বাংলা শিখে এসেছে। বাইরে থেকে এসে বলছে ভোট দিতে। এটা বাংলার নির্বাচন, দিল্লির নয়।’
মূল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন, বলেন, ‘গ্যাসের দাম ৪০০ থেকে ৯০০ করেছে বিজেপি। বিনামূল্যের চাল, রাঁধতে লাগছে ৮০০ টাকার গ্যাস। বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে হবে। সব বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি। এরপর ব্যাঙ্কের জমা টাকাও ফেরত পাওয়া যাবে না।’‘বিজেপি আগে বলেছিল ১৫ লক্ষ টাকা দেবে। ১৫ লক্ষ টাকা সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়বে। এখন ভোটের আগে বলছে চাল-ডাল দেবে। ভোটের পর চলে যাবে। ওরা মিথ্যে কথা বলে, ভোট দেবেন না।’
তিনি বলেন, ‘চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ বিজেপির ভাঁওতা। ভেবেছিল পা ভেঙে আমায় আটকে দেবে।’
রাজ্যে ফের ক্ষমতায় এলে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। পাল্টা রেশনে চাল-গমের দাম কমিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বিজেপির ইস্তেহারে। বলা হয়েছে,বিজেপি ক্ষমতায় এলে রেশনে ১ টাকা মিলবে এক কেজি চাল বা গম। ৩০ টাকা কেজি ডাল,৩ টাকা কেজি নুন এবং ৫ টাকায় মিলবে এক কেজি চিনি।
এছাড়াও ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রের পর রাজ্যেও সপ্তম পে কমিশন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।গতকালই কাঁথি উত্তরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, ত্রিপুরাতেও একই কথা বলেছিল, দেখেছেন তো ওখানে কী হয়েছে। বিজেপির ইস্তেহারকে মিথ্যের ফুলঝুরি বলে দাবি করে মমতা তৃণমূলের ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: গুজরাটি ইশতাহারকে প্রত্যাখান করছে বাংলা, দাবি তৃণমূল নেতৃত্বদের
তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে ভোট দিলে বিনামূল্যে দুয়ারে রেশন পাবেন। বাড়ির মেয়েরা মাসে ৫০০ টাকা করে হাতখরচ পাবেন। এখন ৭ দিনে কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।’
তৃণমূলনেত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাড়িতে বাড়িতে পাইপ দিয়ে জল পৌঁছে দেব। বাকুড়ার জমিগুলো উর্বর করব। ২৫ লক্ষ ছেলেমেয়ের গ্রামীন কাজ হবে ১০০ দিনের কাজে। অন্যতম বৃহৎ জল প্রকল্প হচ্ছে বাঁকুড়ায়। আগে রাস্তার কী অবস্থা ছিল, কোনও কাজ হত না। এখন ১২১৮ কোটি টাকা দিয়ে বাঁকুড়াতে বৃহৎ জল সরবরাহ প্রকল্প। বাঁকুড়াতে ৫৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে জল প্রকল্পের ব্যবস্থা। বাড়িতে বসে কাজের জন্য বাড়িতে লোন দেওয়া হল। মা বোনেদের বলতে এসেছি। যদি আপনারা আমাকে চান, একটা করে ভোট দেবেন। আগামী দিনে ১০ লক্ষ মেয়ের সেল্ফ হেল্প গ্রুপ করে দেব। আরও ব্যাঙ্কের ঋণ দেব। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড। ইন্দাসে বললেন মমতা।
জয়পুর আজ বদলে গিয়েছে, রেল লাইন তৈরি হয়ে গেলে সব বদলে যাবে। কোতলপুরে কোতল ছাড়া আর কী করতেন? ৭২ হাজার কোটি টাকার শিল্প হবে। বাঁকুড়া তীর্থভূমি। পরীক্ষার ফল বেরোলেই দেখা যায়, এখানকার পড়ুয়ারা ভাল ফল করেছে। এখানে তাই বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আছে, পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড হবে, মাত্র ৪ শতাংশ সূদে। আলু সহায়ক মূল্য দিয়ে আলু কিনি।
ভোট মেশিন ভাল করে পরীক্ষা করবেন। না হলে আপনার ভোট আগেই কেউ দিয়ে দেবে। ভোট হয়ে গেলে পাহাড়া দিতে হবে। অনেক পুলিশ আসবে। পুলিশ যদি বলে দিদি আপনি চলে যান, আমি দেখছি। অনেক পুলিশ আসবে। সবার ওপর ভরসা করা যাবে না। অনেকে বিজেপির হয়ে কাজ করবে। পুলিশের ওপর ভরসা রয়েছে। তবুও ভোট মেশিন পাহাড়া দিতে হবে।