ওয়েবডেস্ক : আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে মোতায়েন হতে চলেছে দেড় হাজার আধাসেনা। এদের মধ্যে ১০ কোম্পানি CRPF ও ৫ কোম্পানি অন্যান্য বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব জানিয়ে দিয়েছেন, লালকেল্লা ও আইটিওর রাস্তা খালি করতে যতদূর সম্ভব শক্তি প্রয়োগ করা হবে। মিছিলের আগে কৃষকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল।
পুলিশের নির্দিষ্ট করা রুটে তারা যেতে রাজী হলেও শেষপর্যন্ত তা মানেননি কৃষকরা। হাঙ্গামা করেছেন। এতে বহু পুলিশ আহত। ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে হাঙ্গামার পর কৃষকদের সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে পুলিশ। বাধ্য হয়ে টানা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : অনুমতি দিয়েও কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস দিল্লি পুলিশের
পাশাপাশি রাজধানীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে রাজধানীর পরিস্থিতি বিস্তারিত জানান, স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।
আজ প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয় রাজধানীর একাধিক এলাকায়। সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি রাজধানীর বুকে দাপিয়ে বেড়ায় কৃষকরা।
দিল্লি পুলিসের সদর আইটিও এলাকায় পুলিসের বাধা ভেঙে চলে তোলপাড়। পুলিস বাধা দিলে তাদের ওপরে চড়াও হয় আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও লালকেল্লায় পুলিসের বাধা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে কৃষকরা।
ঐতিহাসিক লালকেল্লার গম্বুজে উঠে লাগিয়ে দেওয়া হয় পতাকা। বিকেলেও দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় তোলপাড় করেন কৃষকরা।
অন্যদিকে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং আহ্বান জানিয়েছেন, যাঁরা প্রকৃত কৃষক তারা রাজধানী থেকে ফিরে যান। দিল্লির পরিস্থিতি দেখে অবাক হয়েছি। কিছু লোক যারা হাঙ্গামা করেছে তা একেবারই গ্রহণযোগ্য নয়।
কৃষকরা এতদিন যেরকম শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন তাকে কালিমালিপ্ত করল আজকের ঘটনা।