রাজভবনে শুভেন্দু, ভোট পরবর্তী হিংসা, দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

কলকাতা: সোমবার বিকেলে বিধানসভা থেকে পায়ে হেঁটে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে পৌঁছন। রাজ্যপালের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন তাঁরা। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী বিজেপি বিধায়করা। ভোট পরবর্তী হিংসা ছাড়াও দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রসঙ্গে এ দিন হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায় রাজ্যপালকে

তিনি মনে করিয়ে দেন, বাকি রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও দলত্যাগ বিরোধী আইন বলবৎ রয়েছে। একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের একবার রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।


বিশেষত বিজেপি ছেড়ে মুকুল তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ভাঙনের চোরাস্রোত বইছে। কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন। কয়েকজন মুকুল-ঘনিষ্ঠও তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ মোট ৫১ জন বিধায়ক এ দিন রাজভবনে যান। রাজ্যপালকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিজেপি (Bjp) নেতারা। পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য প্রশাসনকে দুষে তিনি বলেন, ‘‘কোথায় নারী সুরক্ষা? বাংলায় নারী সুরক্ষা নেই।’’

আরও পড়ুন: সিঙ্গুর জমি আইনের দশ বছর পূর্তিতে কেন্দ্র খোঁচা দিয়ে টুইট মমতার

স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চোটপাট শুরু করেন তিনি। বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে হিংসার তাণ্ডবনৃত্য চলছে। আমি রাজ্য প্রশাসনকে আবার বলছি, নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুন। যা এখানে হচ্ছে, তা পৃথিবীর কোনও কোনায় হয় না।” মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ভাষায় সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আপনি গণতন্ত্রকে শেষ নিঃশ্বাসের দিকে নিয়ে যেতে পারেন না।”

Related posts

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের