ডেস্ক: সামনেই উপনির্বাচন, সেই কারণেই প্রায় ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গুরুদ্বার, কি মসজিদ, কি মন্দির – যেখানেই যাচ্ছেন, জনতার ভিড় তাঁকে ঘিরে বলছে, ‘আপনাকেই চাই।’ কাল গুরুদ্বারে জনসংযোগের পর আজ ভবানীপুরের গোল মন্দিরে গেলেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে পুজো দেন, প্রসাদ বিতরণ করেন সকলকে। এদিন প্রচারে বেরিয়ে ভবানীপুরের লেডিস পার্কেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘
বৃহস্পতিবার ভবানীপুর এলাকার হিন্দিভাষীদের সঙ্গে জনসংযোগে নামলেন তিনি। সেখানেও সকলের একই কথা। কেউ বললেন, ”ম্যাডাম এত ভাল করছেন, বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে। ম্যাডামের ভাল চাই।” কারও আবার বক্তব্য, ”উনি রেকর্ড ভোটে জিতবেন।” সকলের ভালবাসায় আপ্লুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৭২ নম্বর ওয়ার্ডে পদ্মপুকুরের উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষী ভোটারদের সঙ্গে বৈঠকে এনিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল নেত্রী বলেন,’আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বলে আমাকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। আমি মন্দিরে গিয়েছি। গুরুদ্বারেও গেলাম। বিজেপির এই ধরনের কায়দা পছন্দ করি না। গুজরাতি হোক, মারোয়াড়ি হোক-কারও খারাপ চাই না। আমি আপনাদের রক্ষা করব। পুজোর মতো ছটেও ছুটি থাকে। আমি মায়াপুরে জমি দিয়েছি। সেখানে পর্যটনস্থল হবে। মন্দির হবে। যার যা ধর্ম তাই করুন।’
আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন: সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ ডিলাররা
মমতার আজ কথায় কথায় বলেন, “বাংলাই আগামী দিনে দেশকে রক্ষা করবে। ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। এটা আমার দেশ, আমার মাতৃভূমি। অন্য কিছু কেন হবে? আমি আমার দেশ, মাতৃভূমিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। আপনারা শান্তিতে থাকুন। আপনারা ভালো থাকুন। এই হিন্দুস্তান আরও উন্নতি করবে। আমার লড়াই জারি থাকবে। এই মাটি হিন্দুস্তানের। এই মাটি রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, নজরুলের। এটাই আমাদের দেশ। আগে দেশ। পরে আমি। আমার কাছে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর বার্তা আমার কোনো পাবলিসিটি চাই না। আমি কারো খারাপ চাই না।”