ডেস্ক: পাঁচ দিনের সফর সেরে বাংলায় ফেরার আগে দিল্লিতে দাঁড়িয়েই মমতা জানিয়ে দিলেন, ২ মাস অন্তর তিনি দিল্লি আসবেন। অর্থাৎ, বাংলায় ফেরার আগে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করতে তিনিই মধ্যস্থতার কাজটি করবেন। ফেরার আগে জানিয়ে দিলেন, সফর সফল হয়েছে। ফের আসবেন দিল্লি বললেন, কোভিড বিধির জন্য সব নেতার সঙ্গে দেখা না হলেও বৈঠক সফল। ফের একবার জানিয়ে দিলেন, ‘দেশের উন্নতি চাই, মানুষের উন্নয়ন চাই’।
পাখির চোখ যে দিল্লি, সেটা ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়ে মমতা জানান, দু’মাস অন্তরই এ বার করে রাজধানীতে যাবেন তিনি। অন্যদিকে, দিল্লিতে সফরে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক না হলেও তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, নিজেই জানান তৃণমূল নেত্রী।
শুক্রবার দিল্লি ছাড়ার আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিরোধী জোটের আগামী রূপরেখা এঁকে দেন তিনি। বলেন, “দেশকে বাঁচাতে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। তাই একজোট হয়ে লড়াই হবে। বহু বিরোধী নেতার সঙ্গে দিল্লি দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। কোভিড নিয়মের জন্য সংসদের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারিনি। তাই অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি।” মূল্যবৃদ্ধিকে ইস্যু করে বিরোধীরা বিজেপিকে কোণঠাসা করতে লাগাতার আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সেই সঙ্গে ফের একবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধি নিয়ে। বললেন, ‘তেল-গ্যাসের দাম বহুগুণ বেড়েছে, মানুষ নাজেহাল, দেশে বেকারত্ব সমস্যাও।’ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জানালেন, ‘ভ্যাকসিনেশন ঠিকমতো করাতে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি’।
দিল্লিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যেমন রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক করেছেন মমতা, তেমনি সনিয়া-রাহুল গান্ধি সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতার সঙ্গেও বৈঠক সেরেছেন তিনি। কিন্তু যাঁর সঙ্গে শুরু থেকে এক হয়ে চলছিলেন তিনি, সেই শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক হয়নি মমতার। তবে দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে ইতিউতি যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা কিছুটা কিছুটা সামলেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি জানান, “শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। উনি মুম্বই চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরেরবার যখন আসব তখন দেখা হবে।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পাওয়ার বৈঠক না হওয়ায় বিরোধী ঐক্যের বৃত্তটা সম্পূর্ণ করতে পারছিলেন না মমতা।
মনে করা হয়েছিল এই সফরে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। সেই প্রসঙ্গে এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার ওঁদের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা হয়নি। ওঁরা কেউ তো যোগাযোগ করেননি। তবে যখন বাংলায় গিয়েছিলেন তখন কথা হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের পাশেই আছি আমি।”