ডেস্ক: ধূপগুড়ির জনসভা থেকে বিজেপিকে নিশানা মমতার। তিনি বলেন, লাগাতর মিথ্যে বলেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। তাঁরা চা বাগান শ্রমিকদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বাংলায় এনআরসি করতে দেব না। এনআরসি নিয়ে অসত্য কথা বলছেন অমিত শাহ। ‘আমি আমাদের বাংলায় কোনও এন আর সি, সি এ এ করতে দেব না। সব উদ্বাস্তু দেশের নাগরিক,” ধূপগুড়ির জনসভা থেকে এভাবেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন অভিযোগ করেন, অসমে ভোট মিটতেই ফের বাঙালিদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ অনেকের কাছেই নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণের নোটিস যাচ্ছে৷ ফলে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার আগে মানুষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আমি আপনাদের পাহারাদার। আমি গুলি করে লোক মারার চৌকিদার নয়। নিজেদের ভোটটা দিন। আমি রাজ্যে এন আর সি হতে দেব না। আপনারা ভোট দেবেন। আপনারা সবাই দেশের নাগরিক। তবে আমি একা জিতলে হবে না। সবার জিততে হবে। মা বোনেদের বলছি আপনারাই আমাদের সরকার আনতে পারবেন। সব মা, বোনেরা সব ভোট তৃণমূল কংগ্রেসে, জোড়া ফুলে দেবেন।”
শীতলকুচির প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি হঠাও, গোলি হঠাও দেশ বাঁচাও। আমার সরকার হবে। শীতলকুচির গণহত্যার তদন্ত হবে। ভোট মিটলে ঘটনার তদন্ত হবে। দোষীদের সাজা হবে। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আনন্দ বর্মনের খুনীদেরও ধরবই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে ধূপগুড়ির ভোটারদের বুঝিয়ে দেন, বিজেপি আসলে মানুষের জীবন বিপন্ন হবে। ঘরবাড়ি নিয়ে টান মারবে বিজেপি। তাই তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য সবার কাছে আর্তি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা, বোনেরা, ভাইরা খেলা হবে? দেখা হবে, জেতা হবে? বিজেপিকে মাঠের বাইরে বের করে দিতে হবে। বাংলা মাকে বাঁচাতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন এখানকার চা সুন্দরী প্রকল্পে ৩ লক্ষ চা শ্রমিকদের ঘর বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। মমতা বলেন, “আমি অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর মতো মিথ্যা বলি না। অমিত শাহ পাহাড়ে এক কথা বলছেন মতুয়াদের কাছে এক কথা বলছেন। বলেছিল ৭টি চা বাগান খুলে দেবে দিয়েছে? আমাদের সরকার আসলে সব হবে। বাড়িতে রেশন পৌঁছে যাবে। বাড়ির মহিলাদের হাত খরচ দেওয়া হবে। কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী দেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি আগামীদিনে আমাদের সরকার এলে পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করে দেব। আমি ৭টি স্কুল করবো। ২০০ রাজবংশী স্কুল করে দেব। প্যারা টিচার নেওয়া হবে। তাই বলছি যদি বিনা পয়সায় রেশন, পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড চান তবে তৃণমূলকে ভোট দিন।”
রাজ্যে করোনা বাড়ছে বিজেপি-র জন্য….
রাজ্যে করোনা বৃদ্ধির জন্য এবার সরাসরি বিজেপি-র আনা ‘বহিরাগতদের’ দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে করোনা কী সুন্দর কমে গিয়েছিল৷ এতদিনে আরও বেশি মানুষকে যদি ভ্যাকসিন দেওয়া যেত তাহলে করোনা এত বাড়তেও পারত না৷ তার উপর ভোটের জন্য অন্য রাজ্য থেকে এখানে বহিরাগতদের নিয়ে এসেছে বিজেপি৷ আর তারাই এখানে এ সব রোগ ছড়িয়ে দিচ্ছে৷’