কলকাতা: জলমগ্ন চেন্নাই। অন্ধ্রপ্রদেশের অবস্থাও দুর্ভাগ্যজনক। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে আকাশের মুখ ভার। ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গেই মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা চলতে পারে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আজ দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমানেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামীকাল থেকে দুর্বল হতে থাকবে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি। তখন আবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পরদিন, বৃহস্পতিবার ডিসেম্বরেও বৃষ্টি হতে পারে উপকূলবর্তী ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে। শুক্রবার উপকূলবর্তী জেলা ছাড়াও হালকা বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়ায়। শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
ও দিকে, হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ দুপুরে নেল্লোর ও মাছলিপট্টনামের মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়বে ‘মিগজাউম’। তার আগে প্রবল বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ের সিংহভাগ এলাকা জলের তলায়। তার ফলে ব্যাহত হয়েছে যানচলাচল। অবিরাম বর্ষণের কারণে ডাঃ এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোয়েম্বাটোরও মাইসুরুগামী ছ’টি ট্রেন বাতিলের কথা জানিয়েছে রেল। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গমুখী কয়েকটি ট্রেনও বাতিলের কথা জানা গিয়েছে। বিমানবন্দরে জল জমে যাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত উড়ান বন্ধ রাখা হয়েছে।