ডেস্ক: ‘৪ দফার ভোটে খান খান হয়ে গেছে তৃণমূল। ভোটের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সার্টিফিকেট পাবেন দিদি’। আসানসোলে বিজেপির প্রচারে এসে তৃণমূল নেত্রীকে এই ভাবে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন মোদী। মৃত্যুতেও ভোটব্যাঙ্কের ফিল্টার লাগিয়ে দেখেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের কোণা কোণা থেকে শোনা যাচ্ছে, কিছু নেই তৃণমূলে, এবার ভোট পদ্ম ফুলে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উন্নয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন মোদি। তিনি বলেন, ”জনগণের উন্নয়নের কথা ভাবেন না দিদি। করোনা নিয়ে কেন্দ্রের একাধিক বৈঠকে আসেননি। দিদির অহংকার এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে সবাইকে তিনি ছোট দেখেন। করোনা নিয়ে গত দুটো বৈঠকে সব মুখ্যমন্ত্রী এলেও তিনি আসেননি। একই ঘটনা ঘটেছে গঙ্গাসাফাই নিয়ে বৈঠকে। নীতি আয়োগের বৈঠকেও আসার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। এমনকী কেন্দ্রীয় সংস্থা রাজ্যে কিছুর অনুসন্ধান করতে এলে তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ”রাজ্যের মানুষের কথা ভাবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার উন্নয়নের কাজে বাধা দিয়েছেন।শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে আইন এনেছে কেন্দ্র। শরনার্থীদের জন্য এই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন দিদি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইলে আটকে দেন দিদি। রাজ্যের কৃষকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেখানেও বাধা দেন তিনি।বাংলার উন্নয়নের জন্য দিদির সময় নেই।”
বাংলার মানুষদের জন্য সময় বেরতে করতে পারবেন না। রেশন লুঠের ছাড়পত্র দিয়েছে তোলাবাজরা। শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় সেনাকে অপমান করেছেন। দেশের সংবিধানের চেয়ে নিজেকে বড় ভাবেন। দিদির চোখে অহংকারের পর্দা। দিদির রাজনীতি শুধু বিরোধ ও গতিরোধে সীমাবদ্ধ নয়। বরং দিদির রাজনীতি প্রতিশোধের সীমাও পার করেছেন।
আসল পরিবর্তন বাংলার মঙ্গলের জন্য, যুবকদের চাকরির জন্যে। মহিলাদের উপরে অত্যাচারের পরিসংখ্যান গোপন করেছেন দিদি। আমি বাংলার মা-বোনেদের আশ্বস্ত করছি, সব ধর্মের মেয়েদের সম্মান নিরাপদ করবে। গরিব, দলিত ও আদিবাসী মেয়েদের বাইরের রাজ্যে পাচার করা হয়। তা রুখবে বিজেপি।
উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে। গড়ে তোলা হবে আধুনিক পরিকাঠামো। এই অঞ্চলকে আর্সেনিকযুক্ত পানীয় জল থেকে মুক্তি দিতে নলের মাধ্যমে জলপ্রকল্প চালু হবে। ডবল ইঞ্জিন সরকারে ডবল বেনিফিট। এবার সংঘাত নয়, এবার সহযোগিতা হবে। এবার বিরোধ নয়, বিকাশ হবে। মনে ভয় নয়, পেটে ভাত হবে। শিক্ষা, শিল্প ও কর্মসংস্থান হবে, বলে প্রতিশ্রুতি দেন মোদী।
এদিন শীতলকুচিকাণ্ডের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ”দুঃখজনক মৃত্যু নিয়েও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন দিদি। রাজনীতির জন্য জওয়ানদেরও রেয়াত করেন না।কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় সেনাকে অপমান করেছেন। দেশের সংবিধানের চেয়ে নিজেকে বড় ভাবেন। দিদির চোখে অহংকারের পর্দা। দিদির রাজনীতি শুধু বিরোধ ও গতিরোধে সীমাবদ্ধ নয়। বরং দিদির রাজনীতি প্রতিশোধের সীমাও পার করেছেন।
কেউ বিরোধিতা করলে কণ্ঠরোধ করেন দিদি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট কেউ ভুলতে পারেনি। আজও লোকেদের মনে আছে, কীভাবে তাদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০ হাজারের বেশি পঞ্চায়েতে বিনা ভোটে জিতেছেন দিদির লোকেরা। প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা করতে পারেনি।
আসানসোলে আগে বিভিন্নপ্রান্ত থেকে কাজের জন্য আসত। সেই আসানসোলে আজ মাফিয়ারাজ। আসানসোল কয়লা মাফিয়া, বালি মাফিয়া, সরকারি জমি দখলের জন্য় রয়েছে ভূমি মাফিয়া। এখানে অবৈধ খনন কার কাছে যায়, তা সবাই দানে। এখানে ভাইপো ট্যাক্স দিতে হয়।