কলকাতা: ‘১ জুন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব’, করোনা পরিস্থিতিতে এমনটাই মনে করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক জটিলতার মুখে পড়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
কবে মাধ্যমিক, কীভাবে মার্কশিট দেওয়া হবে তা নিয়ে পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা চলছে সরকারের।
আগামী ১ জুন থেকে মাধ্যমিক শুরু হওয়ার কথা। ১০ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই পরীক্ষা পিছোচ্ছে না বাতিল? সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় খোদ পর্ষদ।
বর্তমানে ট্রেন চলাচল বন্ধ। করোনা পরিস্থিতিতে বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতের সমস্যাও থাকছে। এছাড়াও লাগামছাড়়া করোনা সংক্রমণের হার। এমন পরিস্থিতিতে ১ জুন থেকে পরীক্ষার আয়োজন সম্ভব নয় বলেই মনে করছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি আধিকারিকও কী করে পাওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তিত পর্ষদ। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন করে সরকারি আধিকারিক থাকেন পরীক্ষা পরিচালনার জন্য। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা পাওয়া কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে পর্ষদ। অন্যদিকে পরীক্ষা না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের কী ভাবে নম্বর দেওয়া হবে, তা নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: আজ শুরু পরিবহণ কর্মীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া, উদ্বোধন করলেন ফিরহাদ হাকিম
জানা গিয়েছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। পাশাপাশি বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। গতবার যেখানে ২৮৩৯ পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল এবার তা বাড়িয়ে ৪ হাজার করা হয়েছে বলেই পর্ষদ সূত্রের খবর। যদিও পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি কার্যত শুরু করে দিয়েছিল পর্ষদ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়াটা যে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও পরীক্ষা না নেওয়ার ব্যাপার নিয়ে নিয়ে রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার পর্ষদের কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যেরকম আছে, সেরকম যদি চলতে থাকে, তাহলে নির্ধারিত সূচি মেনে মাধ্য়মিক নেওযা সম্ভব নয়। সেই পরিস্থিতিতে আদৌও মাধ্যমিক হবে নাকি সিবিএসই এবং আইসিএসই দশম শ্রেণির মতো পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।