ডেস্ক: ভরা বৈশাখে নামল শ্রাবণ ধারা, দুপুরেই নামল আঁধার। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় শুরু বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। প্রবল বৃষ্টির জেরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জল জমে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে বীরভূম, মালদা, হুগলি সহ বেশ কিছু জেলায়।
এদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায়। কলকাতায় আকাশ কালো করে নামে বৃষ্টি। বৃষ্টিতে শহরের একাধিক রাস্তায় জল জমে যানচলাচলের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। করোনাকালে এমনিতেই ফাঁকা রাস্তাঘাট হয়ে গিয়েছে আরও শুনশান। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলেছে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।
জল থৈ থৈ কলকাতার দক্ষিণ থেকে উত্তর। জলমগ্ন পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, ধর্মতলা, সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ। জলমগ্ন বিবাদী বাগ। ঠনঠনিয়াতেও একই অবস্থা। জলমগ্ন এক্সাইড-রবীন্দ্র সদন মোড়। জলমগ্ন উল্টোডাঙা, সল্টলেকও। দেড় ঘণ্টা ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। হাওড়া এলাকায় অন্তত ৪০টি ওয়ার্ডে জল জমে গিয়েছে। পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু, ফের বিকেলে নতুন করে বর্ষণ শুরু হওয়ায় সেই কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বাজ পড়ে ১ জন মারা গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, জমিতে কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় এক কৃষকের। মালদাতেও বৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, সেখানে গতকাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। মালদা ও হরিশ্চন্দ্রপুরে শিলাবৃষ্টিতে আম, ধান ও পাট চাষের ক্ষতি হয়েছে। কিছু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর। জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে।
আগামী চার পাঁচদিন ধরে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর৷ একই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে৷
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।