বাঙালি সাজে রাজ্যসভার সাংসদ পদে শপথ নিলেন জহর সরকার

ডেস্ক: তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় শপথ নিলেন জহর সরকার। বাংলায় শপথ বাক্য পাঠ করেন তিনি। বুধবার সাবেক বাঙালি বেশে সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে শপথ নিলেন তিনি। দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন প্রাক্তন এই আইএএস (IAS)।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।  সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনেই ৯ অগাস্ট উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অন্য কোনও দল মনোনয়ন পেশ না করায়, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান জহর সরকার।


সোমবার নির্বাচিত হওয়ার পর প্রাক্তন বাঙালি আইএএস আধিকারিক জানান, ‘কেন্দ্র সরকারের ত্রুটি, সমালোচনার আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেলাম। যাঁকে নিয়ে এত সমস্যা এবার তাঁকে সামনে পাব।’ একইসঙ্গে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার নিন্দাও করেন জহর সরকার। সেই পদেই বুধবার শপথ নিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিরোধীরা সংসদকে অপমান করেছেন এটি দেশের অপমান, গণতন্ত্রের অপমান’, কটাক্ষ মোদীর


একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যসভার (Rajya Sabha MP) এই আসনটি ছেড়েছিলেন তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। তার পর থেকে ফাঁকাই পড়েছিল আসনটি। মনে করা হচ্ছিল, দীনেশের জায়গায় মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মমতা। অবশেষে মোদীবিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত, ৬৯ বছর বয়সি বাঙালি IAS-কে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সেই জহর সরকারের মুখে উঠে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে জাতীয় স্তরে, রাজ্যস্তরের নেতাদের কাবু করে দিয়েছে। ফাইটিং স্পিরিট কমে গেছে, তাই বেশি সুবিধে পেয়ে যাচ্ছে। আমরা বলছি সাংবিধানিক মূল্যবোধ মানুন, মমতার ফাইটিং সিনড্রোম।’ 

Related posts

পুজোর ভিড় সামলাতে শিয়ালদহে বিশেষ ব্যবস্থা, চালু হচ্ছে ৩১টি স্পেশাল ট্রেন

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক