বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিচারপতি কৌশিক চন্দ, নন্দীগ্রাম মামলার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ডেরেক, কুণাল

ডেস্ক: ভোট গণনা কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আজ শুক্রবার সেই মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে। এবার এই মামলায় বিচারপতির এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও কুণাল ঘোষ। বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ ওঠে।


নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৪১ দিন পর সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই মামলা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার সেই আইনি লড়াই শুরু হওয়ার আগেই প্রশ্ন উঠে গেল সেই মামলার বিচারপতিকে নিয়ে। কৌশিক চন্দ নামে যে বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা চলবে, তিনি বিজেপির সক্রিয় সদস্য বলে অভিযোগ উঠেছে।

আইনজীবীরা
এরই মধ্যে এ দিন হাইকোর্ট চত্বরেই বিচারপতি কৌশিক চন্দকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীদের একাংশ। বার কাউন্সিলের সদস্যরা হাই কোর্ট চত্বরের মধ্যেই এই বিক্ষোভ চলে। মুখে কালো মাস্ক এবং হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইনজীবীরা। যদিও এদিন শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের। তবে এদিন আইনজীবীরা যে পোস্টার ব্যবহার করেছেন তাতে লেখা, ‘বিচারব্যবস্থার সঙ্গে রাজনীতি করবেন না’।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে পিছোল নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি, পরবর্তী শুনানি ২৪ জুন

ডেরেক ও’ব্রায়েন
দিলীপ ঘোষের বৈঠকে তিনি যোগ দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে দুটি ছবিও পোস্ট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এবার সেই বিচারপতির এজলাস নিয়ে টুইটারে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। ২টি ছবি টুইট করে তিনি লিখলেন, ”দিলীপ ঘোষের সভায় ইনি কে?ইনিই কি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ?”  নন্দীগ্রাম গণনা মামলায় বিচারপতি কৌশিক চন্দকে বিজেপির কিছু সভায় দেখা গিয়েছে। সেই বিচারপতির এজলাসে কেন নন্দীগ্রাম মামলা দেওয়া হয় তা নিয়েই সওয়াল করেন তিনি। 
কুণাল ঘোষ

টুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। টুইট করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও। কুণাল ঘোষ বিচারপতি চন্দের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। আর সেই ছবি পোস্ট করে কুনালের দাবি, ”বিচারপতি কৌশিক চন্দ বিজেপিদরদী। নন্দীগ্রাম মামলা তাঁর হাতে নিরপেক্ষ থাকবে কি? অনুরোধ, বিচারপতি চন্দ মামলাটি ছেড়ে দিন।”

Related posts

বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার সাত লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়ল ৭৩ শতাংশ

হুগলির ধনিয়াখালিতে বিক্ষোভের মুখে লকেট, অশান্ত পরিস্থিতি

ভোট চলাকালীন ঝেঁপে বৃষ্টি, ছাতা মাথায় ভিড় ভোটারদের