কলকাতা: সোমবার সকালে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাত জন যাত্রী, বাকি দু’জন রেলকর্মী। আহত প্রায় ৪০ জন। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন। সিগন্যাল বিভ্রাট না কি যান্ত্রিক গোলযোগ? না কি কারও গাফিলতিতে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
এই দুর্ঘটনার পর নজর এখন রেল কর্তৃপক্ষের তদন্তের উপর, যেখানে এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে। দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে রেলের আরও উন্নত প্রযুক্তি ও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি। ঘটনাস্থলে এসেছেনে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দুর্ঘটনার কারণ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তদন্তের পরেই জানা যাবে দুর্ঘটনার আসল কারণ।
বলে রাখা ভালো, গত বছরের জুনে ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগার কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি ঘটল এবার শিলিগুড়ির কাছে। প্রশ্ন উঠছে, কবচ প্রযুক্তি কেন এই ট্রেনে লাগানো ছিল না? কবচ হল ভারতীয় প্রযুক্তি যা মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে সাহায্য করে। ২০২০ সালে কবচকে জাতীয় স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
এরই মধ্যে রেলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সব কামরাই ছিল পুরনো প্রযুক্তির ‘আইসিএফ কোচ’। ২০১৭ সালে রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দুর্ঘটনা কমাতে আইসিএফ কামরা সরিয়ে এলএইচবি (লিঙ্ক হফম্যান বুশ) প্রযুক্তির উন্নত কামরা লাগানো হবে। এলএইচবি কামরা থাকলে দুর্ঘটনার সময় কামরাগুলির ভারসাম্য অনেক বেশি থাকে, সামনাসামনি ধাক্কা লাগলে কামরা একটির উপর আরেকটি উঠবে না।” এলএইচবি কামরা দ্রুত গতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম এবং দুর্ঘটনা কমাতে সহায়ক।