পথ হারিয়ে রাস্তায় কেঁদে ভাসাচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, ত্রাতার ভূমিকায় কলকাতা পুলিশের ইন্সস্পেক্টর

কলকাতা: আবারও একবার পুলিশের মানবিক রূপ দেখল শহর। দাদুর শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে গিয়েছেন বাবা-মা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দিশেহারা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গ্রিন করিডর করে তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন কলকাতা পুলিশের এক ইন্সস্পেক্টর। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওই পুলিশকর্মীকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া।

কলকাতা পুলিশের একটি ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে, “আজ (শনিবার) সকাল ১১.২০ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। নজরে পড়ে, ক্রন্দনরতা স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরী, সাহায্য চাইছে এর তার কাছে। তাকে জিজ্ঞেস করে শৌভিক জানতে পারেন, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে মেয়েটি, পরীক্ষার সিট পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা সে, একাই পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে যেহেতু পরিবারের সকলে তার দাদুর শেষকৃত্য সারতে গেছেন। কিন্তু বড় দেরি হয়ে গিয়েছে বেরোতে, সময়মত পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব, তাই কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছে সাহায্যের আশায়”।

ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে আর এক মিনিটও ব্যয় না করে মেয়েটিকে তাঁর গাড়িতে তুলে নেন শৌভিক। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করিয়ে নেন ‘গ্রিন করিডর’। রাস্তায় কোথাও না থেমে ঝড়ের গতিতে গাড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে এগারোটায়, যখন সবে দরজা খুলছে স্কুলের। অভিভূত, কৃতজ্ঞ কিশোরীকে ‘বেস্ট অফ লাক’ জানিয়ে বেরিয়ে পড়েন শৌভিক।

শৌভিকের এহেন উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পুলিশকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ছাত্রী। কলকাতা পুলিশের তরফে শৌভিকের এই কীর্তি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরাও।

Related posts

সুন্দরবনে চোরাশিকারিদের হাতে খুন বনকর্মী, তদন্তে পুলিশ

ফের শুরু হতে চলেছে বৃষ্টি-পর্ব, চলবে কত দিন

রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একাংশ সরাসরি রাজনীতি করছে, ক্ষোভ মমতার