ডেস্ক: প্রয়াত জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। বুধবার শ্রীনগরে নিজের বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ‘পাকিস্তানপন্থী’ ওই প্রাক্তন হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ঘরবন্দি ছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানির।
সইদ আলি গিলানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পিপিলস ডেমোক্রাটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি। পিডিপি নেত্রী টুইটে লেখেন, “গিলানি সাহেবের মৃত্যুর খবরে অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা হয়তো অনেক বিষয়েই সহমত ছিলাম না, কিন্তু ওনার দৃঢ়প্রতৃজ্ঞ মনোভাব ও নিজের বিশ্বাসে স্থির থাকার কারণে ওনাকে সম্মান করতাম। আল্লাহ যেন ওনাকে জন্নতে জায়গা দেন এবং ওনার পরিবার ও শুভাকাক্ষীদের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।”
আরও পড়ুন: প্রয়াত রাজ্যসভার প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা সাংবাদিক চন্দন মিত্র
দেশভাগের সময় ভারতের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে নব্বইয়ে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদীদের রক্তপাত ও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের গণহত্যা-সহ বেশ কিছু অধ্যায়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি। বিশেষ করে, বারবারই পাকিস্তানের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
দীর্ঘদিন থেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবন্দি ছিলেন গিলানি। ২০২০ সালে অভ্যন্তরীণ কলহের জেরে হুরিয়তের নেতৃত্বের পদ থেকে ইস্তফা দেন গিলানি। অভিযোগ করেন যে, দলের বাকি নেতারা কাশ্মীরবাসীর উন্নয়নের কথা ভুলে আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। কাশ্মীরে পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংও জানান, শেষ চিঠিতে গিলানি স্বীীকার করে নিয়েছিলেন যে তিনি ভুল পথে চলেছিলেন এবং স্বার্থের খাতিরে কাশ্মীরকে ব্যবহার করা হয়েছিল। বিচ্ছিন্নতাবাদী নানাকার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকায় দীর্ঘ সময় ধরেই তিনি গৃহবন্দি ছিলেন।