হোয়াটসঅ্যাপে ‘ফাঁস’ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! এক ঘণ্টাতেই কিনারা করল পর্ষদ

কলকাতা: শুক্রবার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকজনের মোবাইলে পৌঁছে যায় মাধ্যমিকের প্রথম ভাষা তথা বাংলার প্রশ্নপত্র। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে খবর যেতেই তৎপর হয় পর্ষদ। এক ঘণ্টার মধ্যেই ‘দোষী’দের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

পর্ষদ সূত্রে খবর, প্রশ্নপত্রে থাকা ‘ইউনিক কিউআর কোডের’ স্ক্যান করেই ‘দোষী’দের চিহ্নিত করা গিয়েছে। পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মালদহের দুই পরীক্ষার্থী এই কাজ করেছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁদের পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে গিয়েছে। মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনই বাতিল করে দিয়েছে পর্ষদ।

উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্রে কিউ আর কোডের ব্যবহার এবারই প্রথম করা হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক পৃথক কোড রয়েছে। প্রত্যেক প্রশ্নের পাশে রাখা সে সব কোড। ফলে পরীক্ষার্থী চিহ্নিত করা সহজ হয়েছে পর্ষদের পক্ষে। কোডের সাহায্যে কী ভাবে পরীক্ষার্থী চিহ্নিত করল পর্ষদ?

জানা গিয়েছে, ওই কোডে যে সিরিয়াল নম্বরটি ‘এনক্রিপটেড’ রয়েছে, সেই কোড দেখেই বোঝা যায়, প্রশ্নপত্রটি কোন জেলায় গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোন স্কুলে ওই প্রশ্নপত্র গিয়েছিল, তা-ও জানা যায় সিরিয়াল নম্বর থেকে। তার পর স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে, কোন পরীক্ষার্থীর হাতে সেই প্রশ্নপত্র পড়েছিল।

Related posts

ফের শুরু হতে চলেছে বৃষ্টি-পর্ব, চলবে কত দিন

রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একাংশ সরাসরি রাজনীতি করছে, ক্ষোভ মমতার

আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম দিবসে কলকাতা জাদুঘর জমজমাট সাধারণ মানুষের ভিড়