জলপাইগুড়ি: ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি সদর ও ময়নাগুড়ি ব্লকের বেশ কিছু এলাকা। হতাহত বহু মানুষ। রবিবার রাতেই জলপাইগুড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্বের মধ্যেই ঘটে গেল এই বিপর্যয়। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে চার জনের মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়িতে। ময়নাগুড়ি ও জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল মিলিয়ে দুই হাসপাতালে ভর্তি আড়াইশোর বেশি মানুষ। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আহত বহু মানুষ। অনেকে আশ্রয়হীন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রথমে এক নিহতের বাড়ি গিয়ে পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ফের এগোয় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ঘুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিজে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতির তদারকি করেন। সব মিটিয়ে তাঁর হোটেলে ফিরতে রাত আড়াইটে বেজে গিয়েছিল। আপাতত মালবাজারের চালসার একটি হোটেলে আছেন মমতা।
তিনি বলেন, “আমি দেখলাম ভয়াবহ ঝড়টা এসেছিল। খুব ক্ষণিকের জন্য। ক্ষতি কোচবিহারেও হয়েছে, আলিপুরদুয়ারেও হয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়ির ক্ষতিটা হল ৫ জন মারা গিয়েছেন। একটি বাচ্চাকে নিয়ে আসা হচ্ছে রাতেই। আরেকজনকে উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে শিফট করা হচ্ছে। কাল বিকালে অভিষেক আসবে, দেখে নেবে। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ পাশে আছে। তবে এখন যেহেতু এমসিসি কোড চলছে প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে যা যা করার সব করবে।”