৪০০ আসন নিশ্চিত হলে ইডি-সিবিআই পাঠাচ্ছেন কেন? কৃষ্ণনগর থেকে মোদীকে নিশানা মমতার

কৃষ্ণনগর: রবিবার কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়া সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাব মাঠের জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে এ দিন কর্মসূচি থেকেই লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন মমতা। এ দিন সভা থেকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণও করলেন তিনি।

সংসদে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ করা হয়। তবে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তাঁর উপরেই আবারও ভরসা রেখেছেন মমতা। মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “মহুয়া মৈত্র লোকসভায় জোরে-জোরে কথা বলত। বিজেপির কণ্ঠস্বর চড়াত। ওকে লোকসভা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষ ওকে ফের জেতাবেন।”

লোকসভা ভোটের মুখে সারা দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকর করেছে কেন্দ্র। আইনে অবশ্য বলা হয়েছে, এতে কারও নাগরিকত্ব চলে যাওয়ার ব্যাপার নেই। এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনের সভা থেকে আবারও বলেন, সিএএ হল মাথা। ল্যাজা হল জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)। একবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করলেই এনআরসিতে পড়ে যেতে হবে। তাঁর কথায়, “সিএএ করলেই এনআরসি-তে পড়ে যাবেন। মোদীর গ্যারান্টি জিরো, আমাদের গ্যারান্টি মানুষই হিরো। আমরা সিএএ করতে দেব না, এনআরসি করতে দেব না। কাউকে নতুন করে উদ্বাস্তু করতে দেব না।”

বিরোধী নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে সরব হন মমতা। সঙ্গে তুলে ধরেন এ বারের লোকসভা ভোটে বিজেপির চারশো আসন পাওয়ার দাবিও। তিনি বলেন, “বিজেপি যদি এতই নিশ্চিত থাকে যে এবার লোকসভা নির্বাচনে নাকি ৪০০টি আসন জিতবে। বলছে যে ‘অবকি বার ৪০০’। যদি এতই আত্মবিশ্বাস থাকে, তাহলে ভোটের আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে পাঠাচ্ছেন কেন?”

Related posts

ফের শুরু হতে চলেছে বৃষ্টি-পর্ব, চলবে কত দিন

রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একাংশ সরাসরি রাজনীতি করছে, ক্ষোভ মমতার

আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম দিবসে কলকাতা জাদুঘর জমজমাট সাধারণ মানুষের ভিড়