ডেস্ক: পরিবর্তন স্লোগান তো তৃণমূলের, শুধু টুকলি করে বিজেপি। বাংলা জিতলেই দিল্লি ঝাঁপাবো, দিল্লিছাড়া করব। বিজেপি ভাবছে দেশে বিরোধী শক্তি তৈরি হয়ে যাবে। তাই বাংলা দখলের চেষ্টা। তোপ দাগলেন মমতা।
সিপিএম, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দেওয়া। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এখন জগাই-মাধাই-গদাই। পরিবর্তন স্লোগান তো তৃণমূলের, শুধু টুকলি করে বিজেপি। বাংলা জিতলেই দিল্লি ঝাঁপাবো, দিল্লিছাড়া করব। বিজেপি ভাবছে দেশে বিরোধী শক্তি তৈরি হয়ে যাবে। তাই বাংলা দখলের চেষ্টা। তোপ দাগলেন মমতা।
এক একটা গুণ্ডা আসছে, কপালে তিলক, আর বলছে মেরে দেব। কফি হাউসে গুণ্ডাগিরি করেছে। কফি হাউস দখল করতে গেছে বিজেপি। দু’হাত রক্তে মাখা, দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি। আক্রমণ মমতার। পুজো কমিটির কাছে অনুরোধ বিজেপি লুঠের টাকা ছড়ালে মাথা নোয়াবেন না। মোদি বলেছিলেন ১৫ লক্ষ করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেবে, দিয়েছে? প্রশ্ন মমতার।
আমি না বেরোলে বাংলা দখল করে নেবে বিজেপি। বহিরাগত গুণ্ডাদের কাছে বাংলা ছেড়ে দেওয়া যাবে না। পায়ে চোট, যতই কষ্ট হোক বিজেপিকে বাংলা দখল করতে দেব না। চ্যালেঞ্জ মমতার।
ক্ষুদ্র শিল্পে ৫ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের নামে ক্রেডিট কার্ড, কাউকে গ্যারান্টার হতে হবে না।
দুয়ারে সরকার আগামীতে বিনা পয়সায় রেশন দুয়ারে পৌঁছে দেবে। সব পরিবার বছরে ৬০০০ টাকা করে পাবেন। জানালেন মমতা।
তৃণমূল সরকার দ্বিগুণ শিক্ষক নিয়োগ করবে। খড়গপুরে বলেন মমতা। ব্যাঙ্কে টাকা রাখে মানুষ, যদি ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায় তখন টাকা কীভাবে তুলবেন ? দুঃসহ গরমের থেকেও দুঃসহ অত্যাচার বিজেপির। তুমি সাধু হলে আজ, আর আমি আজ চোর বটে। খড়গপুরে মমতা।
রেল, কোল, বীমা, ব্যাঙ্ক সব বিক্রি করে দিচ্ছে। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা চুরি করলে পালিয়ে যায়, দেখা যায় না। গরিব লোক ৫ পয়সা চাইলে চোর বলছে। পিএম কেয়ার, নোটবন্দির, সংস্থা বিক্রির টাকা কোথায়, জবাব দাও। কয়লা, পাথর, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির টাকা কোথায়, জবাব দাও।
আদিবাসীদের জমি দখল করতে গিয়ে ঝাড়খণ্ডে হার বিজেপির। এবার পায়েও আঘাত, পায়ের বদলা মা-বোনেদের পায়ে সম্মান জানিয়ে উসুল করব। হামলার পর এবার কুৎসা করছে। পায়ের বদলা মা-বোনেদের পায়ে সম্মান জানিয়ে উসুল করব। হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিজেপিকে কোনও সার্টিফিকেট দেবেন না। দুর্যোধন, দুঃশাসনের দলকে একটি ভোটও নয়। ২০১১ সালে পরিবর্তন তো তৃণমূলের স্লোগান। শুধুই টুকলি করে বিজেপি, নতুন কিছু ভাবুন। ভোটের দিন ভোট দিন, নাহলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে। অসমের মতো বাংলাতেও একই চেষ্টা করবে বিজেপি। বাংলায় এনপিআর হবে না। বিজেপিকে কোনও সার্টিফিকেট দেবেন না।
৩৫ লক্ষ মানুষের দারিদ্র দূর করা হয়েছে। গরিব মানুষদের জন্য ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। তাজপুরে গভীর বন্দর তৈরি হচ্ছে, তখন খড়গপুরে অনেক কারখানা হবে। দাবি মমতার।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলার মানুষকে নিয়ে ১০ বছর খেলেছেন, এবার খেলা শেষ, বিকাশ আরম্ভ’, জনসভায় মোদি
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ৩ বছর পরপর রিনিউ হবে। মে মাস থেকে সব বিধবারা ভাতা পাবেন। দুয়ারে সরকার বছরে ৪ বার হবে।
মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ২৫০০০ একর অনুর্বর জমিকে উর্বর করার লক্ষ্যমাত্রা। আমি আপনাদের পাহারাদার, দুর্ঘটনা হলেও টাকা দিই। ৪০ শতাংশ বেকারি কমিয়েছি, অর্ধেক বেকারি কমানোর লক্ষ্যমাত্রা। ক্ষমতায় এলে সব তফশিলী পরিবারকে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠলেই ১০০০০ টাকা অথবা ট্যাব কিনে দেওয়া হবে। নবম শ্রেণিতে উঠলেও বিনা পয়সায় সাইকেল। জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপিকে বাংলা থেকে বিদায় দিতে হবে রাজনৈতিক যুদ্ধের মাধ্যমে। খেলায় লড়ব, বাঁচব, গড়ব, জিতব। বিজেপিকে বোল্ড আউট করে দিন। খেলা হবে, জেতা হবে।