কলকাতা: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফাতারি নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বকলমে জানিয়েদিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির পাশেই আছেন তিনি। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়টি তিনি ‘আইনের হাতে’ ছেড়ে দিয়েছেন।
রবিবার বেহাল পশ্চিমে প্রাক স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট”? অনুষ্ঠান মঞ্চে অনুব্রতর প্রশংসা করে তিনি বলেন, কী করে তিনি বলেন, “ও কিছু চায়নি। সাংসদ, বিধায়ক কিছু হতে চায়নি। আমি ওকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চেয়েছিলাম। ও রাজি হয়নি”।
মমতা বলেন, “সত্যি একটা দু’টো কেস নিয়ে আপনারা এজেন্সি করুন আমার আপত্তি নেই। যদি সত্যি কেউ অন্যায় করে। আইন আইনের পথে চলবে। পরশুদিন কেষ্টকে গ্রেফতার করলেন কেন? কী করেছিল কেষ্ট? যতবার ভোট হয়েছে ওকে আপনারা ঘরবন্দি করে রেখে দিয়েছেন। একটা ভোটেও ওকে বেরোতে দেননি। আসানসোলের ভোটে আমাদের বিধায়ককে বেরোতে দেয়নি। তবু ওর কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষ ভোটে শত্রুঘ্ন সিনহা জিতেছেন। কেষ্টকে তো আটকে রেখে দেয়। কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে”?
শারীরিক ও পারিবারিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ
বীরভূম জেলা সভাপতির কথা বলতে গিয়ে মমতা তাঁর শারীরিক ও পারিবারিক পরিস্থিতির কথাও উল্লেখ করেন। জানান, গত কয়েক বছর ধরে অনুব্রত নানা রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। স্ত্রীকে হারিয়েছে। এমন কী তাঁর স্ত্রী যখন ক্যানসার আক্রান্ত, তখনও নির্দেশ মেনে অনুব্রত মন দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন মমতা।
সরকার ভাঙার চক্রান্ত
অনুষ্ঠানে মমতা আরও বলেন, “ঝাড়খণ্ডেও সরকার ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল। ১০ কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনাবেচা চলছিল। হাতেনাতে ধরে ফেলেছি”।