ওয়েবডেস্ক : ‘যাঁরা চাইছেন, তাড়াতাড়ি চলে যান, ট্রেন ছেড়ে দেবে’, পুরশুড়ার জনসভা থেকে নাম না করে দলত্যাগী ও ‘বেসুরো’দের কড়া বার্তা মমতার। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত হুগলি জেলার জনসভা থেকেই তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, “যারা যারা লাইন দিয়ে আছ, তাড়াতাড়ি চলে যাও… যারা যারা যাচ্ছ, তাদের আর আমরা নেব না।”
মমতা বলেন, ইচোর-এঁচোড়রা সব পালিয়ে যাও। ওদের পায়ে গিয়ে পড়। বিজেপিতে গিয়ে চুরির টাকা রাখ। টাকা করেছ, তাই বিজেপির ঘরে রাখতে যাচ্ছ।
চন্দননগরের সার্কাস মাঠের সভা থেকে ‘হুগলি জেলায় তৃণমূল শূন্য পাবে’ বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুঙ্কার দিয়েছিলেন, “হুগলিতে শূন্য পাবে তৃণমূল। উনিশে হাফ একুশে সাফ।”
আরও পড়ুন : টার্গেট ৩১-এ ৩১! কুলতলির জনসভায় হুঙ্কার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বলেন, বাংলা তোমাদের চায় না। তৃণমূল তোমাদের চায় না। তৃণমূলে টিকিট পাবে না বুঝেই দলবদল করেছ। কেন তোমাদের টিকিট দেবে? তোমরা তো মানুষের জন্য কাজ করনি! কেউ চলে গেলে যায় আসে না। আমরাই ছিলাম, আর আমরাই থাকব।
ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে ওঠা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়েও এদিন বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। একের পর এক উদাহরণ তুলে ধরে মমতার কটাক্ষ, বারবার বাংলাকে অপমান করে চলেছে বিজেপি। যা বাংলার মানুষ কোনওভাবেই মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, কতগুলো উগ্র-ধর্মান্ধ লোক প্রধানমন্ত্রীর সামনেই আমাকে টিপ্পনী করল! এত বড় সাহস! আমার সঙ্গে ভালভাবে কথা বললে আমি সব শুনব। কিন্তু আমায় যদি বন্দুক দেখিয়েছ, আমি তাদের বন্দুকের সিন্দুক দেখাব। কারণ আমি বন্দুকে না, রাজনীতিতে বিশ্বাসী।