ঘরের মেয়ে মমতা, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বীরভূমের ছোট্ট হোটেলে খুন্তিও নাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

বীরভূম : একেবারে গোড়া থেকেই আমার আপনার ঘরের মানুষ হয়ে ওঠার দুর্লভ ক্ষমতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রোড শো থেকে হঠাৎ পাশে দাঁড়ানো বাচ্চাকে কোলে তুলে নেওয়াই হোক বা গ্রামে ঢুকে মাটির দাওয়ায় বসে পরাই হোক, বরাবরই অতুলনীয় মমতা। সে জন্যই তো তিনি জননেত্রী। বীরভূম জেলা সফরেই বা সেই ছবিটা বদলাবে কেন?

বুধবার সকালে বীরভূম থেকে ফেরার ঠিক আগে শান্তিনিকেতনের বল্লভপুরে আদিবাসী গ্রামে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা করলেন আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে। শুনলেন অভাব-অভিযোগ। বোঝালেন ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধার কথা।

আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পরই এলাকায় একটি দোকানে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানে সেই সময় রান্নাবান্না চলছিল। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই একেবারে ঘরের মেয়ের মতো ওই দোকানে রান্নার কাজে হাত লাগান মুখ্যমন্ত্রী। কোমড়ে আঁচল গুঁজে খুন্তি নাড়তে শুরু করেন মমতা। চা খান সেখানে।  

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটিবার দেখার জন্য স্থানীয়দের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর সফরে খুবই খুশি স্থানীয়রা। দেখা সাক্ষাতের পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে সোজা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related posts

আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম দিবসে কলকাতা জাদুঘর জমজমাট সাধারণ মানুষের ভিড়

‘বেরিয়ে যেতে পারেন’, অধীরকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন খাড়্গে

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা, মৃত ২