ডেস্ক: তেহট্টের জনসভা থেকে রাজ্যে করোনা বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ওপর দায় চাপালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য এদিন ফের একবার বিজেপিকেই দায়ী করলেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, দিল্লির নেতারা আসছে বহিরাগত গুণ্ডাদের নিয়ে। বহিরাগতরা আসছে, করোনা করোনা ছাড়াচ্ছে’। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, হাওড়ার এক বিজেপি প্রার্থী করোনা নিয়েই বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন। মমতা বললেন ‘এবারের নির্বাচন বাংলার মর্যাদা রক্ষার নির্বাচন। বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির রক্ষার নির্বাচন’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যে পরিষ্কার তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাজ্যে কারোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন। তিনি স্পষ্টভাষায় বলেন, “রাজ্যে করোনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদী জবাব দাও।”
মমতা বলেছেন, করোনা কারুর হতেই পারে। কিন্তু আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাতে হবে। হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। তৃণমূুল প্রার্থীরও করোনা হয়েছে। কিন্তু তিনি বাড়িতেই রয়েছেন। তাঁর কাজ করে দিচ্ছে দলের কর্মীরা। তাঁর অভিযোগ, হাওড়ার ওই বিজেপি প্রার্থী নিয়ম মানেননি। করোনা নিয়েই বাড়ি বাড়ি ভোটের প্রচার করেছেন।
তিনি বলেছেন, এর আগে পাঁচ-ছয় মাস রাজ্যে করোনা ছিল না। তখন টিকা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, রাজ্য ইঞ্জেকশন কিনে নেবে এবং নিখরচায় রাজ্যের মানুষকে তা দেবে। কিন্তু সেই অনুমতি কেন্দ্র দেয়নি। মমতা বলেছেন, এখন তো ওষুধও দিচ্ছে না কেন্দ্র। বিভিন্ন রাজ্য়ই এই অভিযোগ করছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি উদ্বেগজনক’ টুইট করলেন রাজ্যপাল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “আমরা আবার ক্ষমতায় এলে মহিলাদের জন্য হাতখরচের ব্যবস্থা করবো। সাধারণ মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে আর এসসি/এসটি মহিলাদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়াও যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে চায় কিন্তু অর্থাভাবে যেতে পারে না, যাদের বাবা, মায়েরা এডুকেশন লোন নিতে পারেন না, তেমন পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। ৪% সুদের হারে এই টাকার জামিনদার থাকবে রাজ্য সরকার।”
“২৫০ মাদ্রাসাকে সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হবে । বছরে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। দ্বিগুণ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এর জন্য জোড়া ফুলে ভোটটা দিতে হবে। বিজেপি আসলে মানুষকে তাড়িয়ে দেবে। তাই শুধু ভোটটা তৃণমূলকে দিন।”