ডেস্ক: ‘এবারও ঝড় সামলাব, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।আতঙ্কিত না হয়ে মানবিকতার হাত বাড়াতে হবে’। রাজ্যবাসীকে আশ্বাস দিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও করোনা-ঝড় সামলানো যাবে। এর পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘রাজ্যে এখন লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে না। লকডাউনে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে’।
তিনি দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা রোগীদের জন্য ১১ হাজার বেড রয়েছে৷ দিন দু’ য়েকের মধ্যেই তা বাড়িয়ে ১৩ হাজার করা হবে৷ করোনা চিকিৎসায় মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লির মতো রাজ্যগুলিতে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আশ্বাস্ত করে বলেছেন, সরকারি হাসপাতাল বাদেও রাজ্যের ৮০টি বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের সুবিধা যুক্ত ৭ হাজার বেড করোনা রোগীদের জন্য রাখা আছে৷ এর মধ্যে আইসিইউ, এইচডিইউ-এর সুবিধা যুক্ত বেডও রয়েছে৷ অক্সিজেনের কালোবাজারি যাতে না হয়, প্রশাসন সেদিকেও নজর রাখছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘অক্সিজেনের ঘাটতি আছে৷ অক্সিজেন মজুত করে রাখা বা কালোবাজারি রুখতে বলা আছে৷’
তিনি বলেন, ‘সঙ্কটজনক হলে তবেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। মৃদু উপসর্গ থাকলে সেফ হাউসে থাকুন।‘ তিনি জানান, তিনটি গ্রেড করা হবে। গুরুতরদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে। অসুস্থতদের সেফ হাউসে। কম অসুস্থদের বাড়িতে আইসোলেশনে।
আরও পড়ুন: নিমতলা মহাশ্মশানে পঞ্চভূতে বিলীন হলেন কবি শঙ্খ ঘোষ
সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনের নতুন দাম ঘোষণা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেন্দ্র কিনবে ১৫০ টাকায়, রাজ্য কিনবে ৪০০ টাকায়?’ মুখ্যমন্ত্রী ভ্যাকসিনের দাম বাড়ার প্রসঙ্গে বলেন, “মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার সময় এখন। এটা ব্যবসা করার সময় নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ভ্যাকসিনের দাম যাতে না বাড়ে সেটা জানিয়ে চিঠি লিখবো।”করোনা ভ্যাকসিনের জন্য রাজ্য সরকার ১০০ কোটি টাকার একটা ফান্ড তৈরী করছে, বলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক থাকায় রাজ্যে সংক্রমণের হার বেশি হলেও তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই৷ আতঙ্কিত না হয়ে মানবিকতার হাত বাড়াতে হবে৷ আগের বারের ঝড় আমরা সামলেছি৷ এবারের ঝড়টা একটু বেশি উঠেছে, কারণ বাংলায় বাইরের লোক ভরে গেছে৷’