কথা রাখলেন মমতা, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর, আজই টাকা পেলেন কৃষকরা

ডেস্ক: রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে ভোট-পর্বে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতিই একে একে পূরণ করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক মাস্টার স্ট্রোক দিয়েই সেই ধারা অব্যাহত রাখছেন মমতা। একলাফে দ্বিগুন বৃদ্ধি করা হল ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভাতা। আগে এই প্রকল্পে বার্ষিক ভাতা ছিল ৫ হাজার টাকা। তা বাড়িয়ে করা হল ১০ হাজার টাকা করা হল। বৃহস্পতিবার নবান্নে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ থেকেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাবেন কৃষকরা।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে কৃষি ক্ষেত্রে আরও উন্নয়নে বাড়তি নজর রয়েছে মমতার সরকারের। অনেকদিনই রাজ্যে চালু ছিল কৃষক বন্ধু প্রকল্প। বছরে ৫ হাজার টাকা পেতেন রাজ্যের সমস্ত কৃষকরা। কিন্তু এবারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সেই ভাতা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি কৃষকমহল।


কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৬২ লক্ষ উপভোক্তার কাছে পৌঁছে যাবে টাকা। বছরে দু’কিস্তিতে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী জানান,”আজই কৃষক বন্ধু প্রকল্পে টাকা পেলেন ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার কৃষক। আস্তে আস্তে বাকিরাও পেয়ে যাবেন।”


এদিন তিনি ঘোষণা করেন, ‘‌রাজ্যের ৬টি জেলায় রেকর্ড পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি, পশুপালন এবং মৎস্যচাষ করা হবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরের কৃষকদের নোনা স্বর্ণ ধানের বীজ দেওয়া হচ্ছে। রাসায়নিক থাকছে কিটেও। ১৮৬টি কিষান মান্ডি তৈরি করা হয়েছে। অভাবি বিক্রি বন্ধ করতে তহবিল গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সবাইকে টাকা দিচ্ছে না। ক্ষেত–মজুর–বর্গাদার পান না কেন্দ্রের প্রকল্প। বরং কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীন ৬২ লক্ষ কৃষক চলে এলেন।’‌

আরও পড়ুন: জুলাইয়ের মধ্যেই মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ, নবান্নে ঘোষণা মমতার


মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,”কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কৃষকের মৃত্যু হলে ২ লক্ষ টাকা দেয় সরকার। ২৮ হাজার কৃষক পরিবারকে মৃত্যুকালীন সুবিধা ৫৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কৃষক বার্ধক্যভাতা ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। উপভোক্তা ৬৬ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ। শস্য বিমার প্রিমিয়াম ৭০০ কোটি টাকা দেয় সরকার। ৬৪ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হওয়ায় প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ কৃষক পরিবারকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। ১৮৬টি কিসান মান্ডি তৈরি হয়েছে রাজ্যে। ৫০ লক্ষের বেশি সয়েল হেল্থ কার্ড। ১৬৫০টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার থেকে নামমাত্র ভাড়ায় কৃষি যন্ত্রপাতি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের ৬টি জেলায় ৫০ হাজার একর পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে কৃষি, মৎস্যচাষ ও পশুপালনের জন্য মাটিসৃষ্টি প্রকল্প চালু করেছি।”

Related posts

ফের শুরু হতে চলেছে বৃষ্টি-পর্ব, চলবে কত দিন

রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের একাংশ সরাসরি রাজনীতি করছে, ক্ষোভ মমতার

আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম দিবসে কলকাতা জাদুঘর জমজমাট সাধারণ মানুষের ভিড়