ডেস্ক: বেলাগাম পেট্রোল, নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার৷ জ্বালানির এই আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পেট্রোল, ডিজেলের দাম কমাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া করের হার কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী ১০ ও ১১ জুলাই রাজ্যজুড়ে জ্বালানি তেলের মৃল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় নীতির জন্যই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমছে৷ পেট্রোলের দাম কোনও কোনও রাজ্যে একশো টাকা ছুঁয়েছে। গত ৪ মে থেকে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত ডিজেলের দাম ৮ বার বাড়িয়েছে। এর মধ্যে জুনেই দাম বেড়েছে ৬ বার। এর ফলে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কারণ জ্বালানির মূল্যবৃ্দ্ধির প্রভাব সরাসরি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপরে পড়ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ‘২০২০ সালের মে মাসের তুলনা চলতি বছরে দেশের পাইকারি মূল্য সূচক ১২.৯৪ শতাংশ বেড়েছে৷ একই ভাবে গ্রাহক মূল্য সূচকও ৬.৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ভোজ্য তেলের দাম ৩০.৮ শতাংশ, ডিমের দাম ১৫.২ শতাংশ এবং ফলের দাম ১২ শতাংশ হারে বেড়েছে৷ শুধু তাই নয় করোনা অতিমারির মধ্যেও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সামগ্রীর দাম ৮.৪৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ‘
আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রণব-পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট থেকে সরকারের কর আদায় বেড়েছে ৩৭০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে ওইসব পণ্যের উপরে কেন্দ্রের লাগাতার শুল্ক বৃদ্ধি। রাজ্য সরকার যে পেট্রোল, ডিজেলের দাম কিছুটা কমিয়ে আমজনতাকে স্বস্তি দিতে নিজেদের তরফে কিছুটা ছাড় দিয়েছে, সেকথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷