ডেস্ক: আমি যা বলেছি, সেটা করেছি, বিজেপি কিছুই পারেনি,২৯১ আসনেই আমাকে ভোট দিন’, বাঁকুড়ায় জনসভা থেকে বললেন মমতা।
কুৎসাকারীর দল বিজেপি। সিপিএমের হার্মাদরা এদের হাতে করে নিয়ে এসেছে। আমি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। আগে জঙ্গলমহলে রক্ত ঝড়ত। এখন এসব হয় না। আমি পাহাড়ে, জঙ্গলমহলের গন্ডোগল বন্ধ করে দিয়েছি। আমি ৪০ হাজার পুলিসের চাকরি দিয়েছি।
আমি কাঁসর-ঘণ্টা বাজিয়ে বাজিয়ে NPR, NRC রুখেছি। বিনা পয়সায় রেশন পাবেন, দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে যাবে। আমাদের সরকার থাকলে আরও পাবেন। ‘বিজেপি বলছে সপ্তম পে কমিশন হবে। অথচ সব বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে, সব বিক্রি করে দিচ্ছে। বিজেপি দুর্যোধন, দুঃশাসনের দল, সিপিএম বিজেপিকে নিয়ে এসেছে। আমাদের দু-একটা গদ্দার বিজেপিতে গেছে। যাও চলে যাও, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। ২৯১ আসনেই আমাকে ভোট দিন।
নারী শক্তির উত্থান যে মূল লক্ষ্য তা ফের এক বার বাঁকুড়ার জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বোঝালেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ‘সেল্ফ স্বনির্ভর প্রকল্পের মেয়েরা আমার গর্ব। ‘বিষ্ণুপুর আগামি দিনে অনেক নাম করবে। স্বনির্ভর প্রকল্পের মহিলাদের কম সুদে ঋণ দেয় সরকার।’
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের খেলা শেষ, বিকাশ শুরু’, কাঁথিতে মোদি
সভা থেকে কড়া ভাষায় মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার আগে সম্মান করতাম। মোদির মতো এত বড় মিথ্যাবাদী আমি দেখিনি। বহিরাগত গুণ্ডা কারা? উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আজ চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে বিজেপির অত্যাচারে।’ ‘কৃষকরা রাস্তায় পড়ে আছে। পেরেক পুঁতেছে যাতে হাঁটতে না পারে। মোদির তিনটে সিন্ডিকেট। একটা অমিত শাহ, একটা মোদি, একটা আদানি। সব লুঠ করে নিয়ে যাবে। শুধু মোদি খাবে, অমিত শাহ খাবে, আর আদনি খাবে। বাংলার মানুষ কেঁদে বেড়াবে।’
প্রতিনিয়ত কেন্দ্রের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধেই সুর চড়ান মমতা, তিনি বলেন, ‘কীসে রান্না করেন, কেরোসিন না গ্যাসে। কেরোসিন পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাস ছিল দু’শো টাকা, হল ন’শো টাকা। ভোট পাওয়ার জন্য একশো টাকা কমাবে। তারপর বাড়িয়ে দেবে। চাল ফোটাবেন না বিজেপিকে ফোটাবেন? কোনটা করবেন? দু’টো গ্যাসের দাম আঠেরোশো টাকা। পাঁচ হাজার টাকা মাইনে পেলে গ্যাসেই আঠেরোশো চলে গেল। বলুন, গ্যাস বিনা পয়সায় দিতে হবে, তারপর ভোট চাও।’
বিস্তারিত আসছে…