কলকাতা: ভাঙা পায়ে সারা বাংলা ঘুরে বেড়াব, খেলা হবে, চ্যালেঞ্জ মমতার। শারীরিক যন্ত্রণার থেকে মানসিক যন্ত্রণা অনেক বড়। সারা শরীরে আমার আঘাতের চিহ্ন। কিন্তু আমি কখনও তোয়াক্কা করিনি। স্বৈরাচারীদের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষার দায়িত্ব অনেক বেশি। বাংলাকে ঘিরে চক্রান্ত নস্যাৎ হোক।
নিহত বাঘের থেকে আহত বাঘ আরও বেশি ভয়ঙ্কর। বললেন মমতা। আমাকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। হাজরা আমার কাছে ঐতিহাসিক জায়গা, এখানে অনেকবার প্রাণে মারার চেষ্টা হয়েছে। এই বলে বক্তব্য শেষ করলেন মমতা।
গণতন্ত্র রক্ষার জন্য তিনি লড়াই করে যাবেন বলেই জানান। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “এমনিতেই আমার ৫-৬ দিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে আমি এটুকুই বলব, আমার জীবনে অনেক আঘাত প্রত্যাঘাত দেখেছি। লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই এগিয়ে গিয়েছি। কিন্তু কখনও মাথা নত করিনি। এখন যন্ত্রণা রয়েছে ঠিকই। ১৫ দিন বেড রেস্ট বলেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু তা করলে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছবে কে। এমনটা হলে তো যারা পরিকল্পনা করে, চক্রান্ত করে, ওরা সফল হয়ে যাবে।”
আরও পড়ুনঃ ‘রাজ্যের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায় ছিল’ নন্দীগ্রাম দিবসে স্মৃতি উস্কে টুইট মমতার
নন্দীগ্রাম দিবসে হুইলচেয়ারে বসে মিছিলে অংশগ্রহণ মমতার। কলকাতার মেয়ো রোড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিলে যোগ দিলেন মমতা। এমন নজির নেই বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর প্রথম কর্মসূচি। তৃণমূল নেত্রীর হুইলচেয়ারের পাশে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সভায় যোগ দেওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করব। আমার এখনও অনেক ব্যথা আছে। কিন্তু তার থেকেও অনেক বেশি ব্যথা মানুষের জন্য অনুভব করছি। এই লড়াইয়ে আমাদের জন্মভূমিকে রক্ষা করব। আমরা অনেক সহ্য করেছি। হয়ত আরও করব। কিন্তু কখনই কাপুরুষের সামনে মাথা নত করব না।
আজ গাঁধী মূর্তি থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ভাঙা পায়েই নবান্ন দখল হবে। কোনও বহিরাগত জায়গা করতে পারবে না।
সভা শেষে এরপর কপ্টারে দুর্গাপুর যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামীকাল পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় জোড়া সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী।
বিস্তারিত আসছে…